আনিস-কাণ্ডে বাম ছাত্র-যুবকর্মীদের অভিযানে রণক্ষেত্র পাঁচলা, লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস পুলিশের
আনিস খানের হত্যার বিচার চাই। এই দাবিতে পাঁচলার পানিয়াড়ায় হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও অভিযানে নেমেছিল এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতা-কর্মীরা।
আনিস খানের হত্যার বিচার চাই। এই দাবিতে পাঁচলার পানিয়াড়ায় হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও অভিযানে নেমেছিল এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতা-কর্মীরা। বাম ছাত্র-যুবকর্মীদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পাঁচলা। পুলিশের সঙ্গে ছাত্র ও যুবকর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে।
শুক্রবার আমতা থানা ঘেরাও করে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। সেই অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাম-যুবকর্মীদের ইটবৃষ্টিতে কয়েকজন পুলিস জখম হন। এদিনও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে পাঁচলায় হাওড়া পুলিস সুপারের অফিস ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে। পুলিশের সঙ্গে বাম-যুবকর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়।
আনিস হত্যার বিচার চেয়ে এদিন মিছিল করে এসপি অফিস অভিযান করে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শনের নামে তাণ্ডব চালান বামকর্মীরা। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা ছ-নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ-ভ্যান ও গাড়িতে ভাঙচুর চালান। পুলিশের গাড়ি থেকে কাগজপত্র ও নথি ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। লাঠিচার্জ করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার পর বাম ছাত্র-যুবকর্মীদের ধরপাডকড় শুরু করে। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কের যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। বামকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি করে। তার ফলে অনেক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। আহত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিন যে বিক্ষোভ-অভিযানকে ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা আগে থেকেই অনুমান করেছিল পুলিশ। সেই কারণে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকাতে তিনটি ব্যারিকেড করে। সেই ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোতে শুরু করে। পুলিশের সঙ্গে তখনই খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি শুরু হয়। রাস্তা থেকে স্টোনচিপ তুলে ছোড়া হয়। ইট-পাটকেলের আঘাতে বহু পুলিশকর্মী জখম হন। পুলিশ ভ্যান থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ পুলিস কর্তাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশ এরপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর ধরপাকড় অভিযান চালায় পুলিশ। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, এইভাবে নকল লোককে গ্রেফতার করে যদি টিআই প্যারেড করান, বিক্ষোভ তো হবেই। বাংলায় তো আগুন জ্বলবেই। আনিস-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। প্রায় ঘণ্টা খানেক খণ্ডযুদ্ধ ও ধুন্ধুমারের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
Recommended Video