মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে রাখা যাবে না নির্বাচনী সেল! কেন? চাঞ্চল্যর দাবি শুভেন্দুর
বাংলার মেয়ে মমতা! এই স্লোগানে বাংলাজুড়ে প্রচার করছে শাসকদল তৃণমূল। যার পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। কারা বাংলার মেয়ে তা নিয়ে পালটা একটা প্রচার শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।
বাংলার মেয়ে মমতা! এই স্লোগানে বাংলাজুড়ে প্রচার করছে শাসকদল তৃণমূল। যার পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। কারা বাংলার মেয়ে তা নিয়ে পালটা একটা প্রচার শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।
এবার ডানকুনিতে 'রথযাত্রা'র সূচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নবান্নে নির্বাচনী সেল খোলা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।
বাংলার মেয়ে নিয়ে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর!
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উনি বাংলার মেয়ে নন! বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ফুফু, আর রোহিঙ্গাদের খালা'। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু তোষণ নিয়েও এদিন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, সমস্ত সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি নম্বর কম থাকে তা বেশি করে দিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে মারাত্মক অভিযোগ এদিন করেন শুভেন্দু অধিকারী।
একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু
বিবেক দুবেকে রাজ্যে পুলিশ পর্যবেক্ষক করে পাঠাচ্ছে কমিশন। আর তাতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই বিষয়টি হাতিয়ার করেও দিন রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে কয়েকটা দাবি রাখতে চাই। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় দেখছিলাম নবান্নে খোলা হল নির্বাচনী সেল। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সেল নবান্নে রাখা যাবে না বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। কেন রাখা যাবে না, সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। নির্বাচনী সেলের নামে পুরো ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করা হবে বলে অভিযোগ তাঁর। শধু তাই নয়, মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের অঙ্গুলি হেলনেই নবান্নের আধিকারিকরা চলেন বলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ এদিন করেন শুভেন্দু অধিকারী। ডিজি থেকে মুখ্যসচিব সবাই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আজ্ঞাবহ বলে চূড়ান্ত অভিযোগ শানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এরপরই মমতার বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকের কথা তুলে ধরে শুভেন্দুর কটাক্ষ, আপনারা দেখেছেন, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে উনি এই আলাপন, এই দ্বিবেদী, এই বীরেন্দ্র, এই সুরজিৎ বলেন। আর তাঁরা বলছেন ম্যাম, ম্যাম, ম্যাম... অতএব এই ম্যাম করা লোকেদের নবান্নে ইলেকশন সেলে বসিয়ে ভোট করা যায় না। ওখান থেকে তুলে দিতে হবে।
ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ
এদিনের সভা থেকে আরও মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তো বটেই নবান্ন থেকে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতা হয় বলে অভিযোগ তাঁর। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, প্রত্যেক থানার অফিসার, সিআইডি, এসটিএফ বিরোধী নেতাদের ফোনে আড়ি পাতেন। বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফোনে আড়ি পেতে তাদের কথাবার্তা শোনা এবং সভা-সমিতির পরিকল্পনা জেনে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তাই কমিশনের কাছে তাঁর আবেদন, অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। মৌখিকভাবে এদিন বলা হলেও আগামিদিনে কমিশনের কাছে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পটনা ফেরার টিকিট কাটতে হবে
রাজ্য-প্রশাসনকে একহাত নেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রশান্ত কিশোরকেও একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত কড়া ভাষায় জবাব দেন তিনি। বিজেপি নেতার দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই পটনা ফিরে যেতে হবে তৃণমূলের ভোট কুশলীকে৷ উল্লেখ্য, এ দিন সকালেই প্রশান্ত কিশোর একটি ট্যুইট করেন৷ সেখানে তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলেরই জয় নিশ্চিত৷ প্রশান্ত কিশোর লেখেন, 'বাংলা তার মেয়েকেই চায়৷ আমার এই ট্যুইট ২ মে মিলিয়ে নেবেন৷'