Euro 2020 : এফএ-কে ভর্ৎসনা করে ফাইনাল পরবর্তী সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইল উয়েফা
Euro 2020 : এফএ-কে ভর্ৎসনা করে ফাইনাল পরবর্তী সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইল উয়েফা
ইউরো কাপের ফাইনালের পর বিক্ষিপ্ত অশান্তি, সংঘর্ষ নিয়ে ইংল্যান্ডের ফুটল অ্যাসোয়সিয়েশন এফএ-কে তীব্র ভর্ৎসনা করল উয়েফা। একই সঙ্গে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তাও জানাতে চেয়েছেন ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। ইউরো ফাইনাল শেষে নির্দিষ্ট ফুটবলদের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য নিয়েও সরব হয়েছে উয়েফা।
এই ইস্যুতে উয়েফার তরফে স্বতন্ত্র তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ কাজের জন্য নীতি ও শৃঙ্খলারক্ষাকারী কর্তার হাতে বিশেষ ভার দেওয়া হয়েছে। ইউরো কাপের ফাইনালের দিন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের ভিতরে এবং বাইরে কীভাবে বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হল, গাফিলত কাদের, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই তদন্তকারী কর্তাকে। তবে ইতিমধ্যেই ওই অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে এফএ। সোমবার ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তাতে যে চিড়ে গলছে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে উয়েফা।
গত রবিবার ওয়েম্বলিতে ইতালির বিরুদ্ধে ফাইনাল হেরে যায় ইংল্যান্ড। টাইব্রেকারে ম্যাচের ফয়সলা নির্ধারিত হয়। স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ইংল্যান্ডের তিন জন ফুটবলার। তাঁদের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার পাশাপাশি হারের জ্বালায় লন্ডন, ম্যাঞ্চেস্টারের বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। শহরজুড়ে রীতিমতো তাণ্ডব করেন ইংল্যান্ডের ফুটবল প্রেমীরা।
ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশের ১৯ জন কর্মী ও কর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৫৩ জনকে ওয়েম্বলি ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। ইংল্যান্ড ফুটবল সমর্থকদের এই আচরণের তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্ব। ২০৩০ সালে ইংল্যান্ডে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পরিস্থিতি এমন হলে সেখানে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায় কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।