বছরের প্রথম ডার্বিতে কঠিন লড়াই, প্রথমার্ধেই ২ গোল এটিকে মোহনবাগানের, এক আত্মঘাতীতে ফায়দা এসসি ইস্টবেঙ্গলের
বছরের দ্বিতীয় ডার্বিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, প্রথমার্ধেই এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল শোধ এসসি ইস্টবেঙ্গলের
বছরের প্রথম ডার্বির প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। চলতি আইএসএলের দ্বিতীয় সাক্ষাতে এগিয়ে থেকেও লাল-হলুদের বিরুদ্ধে গোলের ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না আন্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল। দুর্দান্ত লড়াই করে ম্যাচে ফিরে এল রবি ফাওলারের দল। প্রথম ৪৫ মিনিটে ১-১ গোলে ভেসে রইল বড় ম্যাচ।
ইতিমধ্যেই আইএসএলের নক আউট স্তরে পৌঁছে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। আজ জিতলে ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার প্রথম স্থানেই দাঁড়িয়ে থাকবে সবুজ-মেরুন। অন্যদিকে ১৭ ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা এসসি ইস্টবেঙ্গল আজ জিতলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল তালিকার অষ্টম স্থানে উঠে আসবে রবি ফাওলারের দল।
এমনই এক পরিস্থিতিতে ধারেভারে এগিয়ে থাকা এটিকে মোহনবাগান সবুজ-মেরুন জার্সিতে ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝড় তোলে। প্রতি আক্রমণে উঠে গোল করার মরিয়া চেষ্টা চালায় সাদা জার্সির এসসি ইস্টবেঙ্গলও। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই একাধিকবার গোলের কাছে পৌঁছে যায় আন্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল। চাপে ভুল করতে শুরু করেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা। তারই সুযোগ নিয়ে ম্যাচের ১৫ মিনিটে তিরি লম্বা ভাসানো বল পা নিয়ে কার্যত মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে ডি বক্সে ঢুকে লাল-হলুদ গোলরক্ষক সুব্রত পালকে কাটিয়ে গোল করেন এটিকে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণ। টুর্নামেন্টে এটি ফিজিয়ান স্ট্রাইকারের ১৪তম গোল।
গোল খাওয়ার পর কিছুটা হলেও গুটিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের লাইফলাইন ব্রাইট এনোবাখারে, জ্যাকুয়াস মাঘোমা এবং অ্যান্টনি পিলকিংটনকে কার্যত বোতলবন্দি করে ফেলেন সবুজ-মেরুনের সন্দেশ ঝিঙ্গান, তিরি, প্রীতম কোটাল এবং শুভাশিস বোসরা। ফলে ডি বক্সে ঢুকেও খুববেশি নাড়াচড়া করতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে হাল ছাড়েনি লাল-হলুদ। ৩৫ মিনিটের পর থেকে ম্যাচে আচমকাই গতি বাড়ান ব্রাইটরা। ৪১ মিনিটে সেট পিস থেকে গোল শোধ দেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল। আত্মঘাতী গোল দেন এটিকে মোহনবাগানের জোস লুইস আরোয়ো।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ থেকে পাসিং ফুটবলে এটিকে মোহনবাগানকে টেক্কা দেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের মধ্যে আরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা।