চলতি আইএসএলে কৃষ্ণর এক ডজন গোল, সুনীলদের হারিয়ে কার্যত প্লে অফে এটিকে মোহনবাগান
চার ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএলের প্লে অফে জায়গা কার্যত পাকা করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। প্লে অফে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে এই ম্যাচে জিততেই হতো সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি-কে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হাবাসের রেকর্ড আরও উজ্জ্বল করে দিলেন রয় কৃষ্ণ, মার্সেলিনহো, ডেভিড উইলিয়ামসরা। ফতোরদায় বেঙ্গালুরু এফসি-কে ২-০ গোলে হারাল এটিকেএমবি। দুটি গোলই হয় প্রথমার্ধে।
এটিকে মোহনবাগান দলের প্রথম একাদশে এদিন তিনটি পরিবর্তন করেন কোচ হাবাস। প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদার ও জাভিয়ার হার্নান্ডেজের নামান প্রবীর দাস, কার্ল ম্যাকহিউ, ডেভিড উইলিয়ামসকে। বিশেষ করে উইলিয়ামসের উপস্থিতিতে সবুজ-মেরুন আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। গুরপ্রীত সিং কয়েকটি দুরন্ত সেভ করতে না পারলে প্রথমার্ধে আরও বেশি গোলে এগিয়ে যেতে পারত বাগান। এই জয়ের ফলে ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট হল এটিকেএমবি-র।
লিগ শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি-র তুলনায় ১ পয়েন্ট পিছিয়ে বাগান। প্রথম সাক্ষাতেও বেঙ্গালুরু এফসি-কে ১-০ গোলে হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। এই পারফরম্যান্স, এই জয় আগামী ১৯ তারিখ এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফিরতি ডার্বিতেও এগিয়ে রাখল হাবাসের দলকেই। তবে তার আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি জামশেদপুর এফসি-র মুখোমুখি হবে বাগান। এ ছাড়া ২২ তারিখ হায়দরাবাদ এফসি ও ২৮ তারিখ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা এবং প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলা মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে খেলবে এটিকেএমবি।
উদান্তা সিং, হরমনজ্যোৎ খাবড়া শুরুর দিকে আক্রমণ শানালেও তা দানা বাঁধেনি সেভাবে। বরং আধিপত্য নিয়ে খেলে বারেবারেই বিপক্ষ ডিফেন্সকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেন কৃষ্ণ, উইলিয়ামসরা। কৃষ্ণর শট গোলকিপার গুরপ্রীতের বুকে লাগে। এরপর ম্যাকহিউয়ের দূরপাল্লার শট দারুণভাবে রুখে দেন তিনি। ৩৬ মিনিটে প্রতীক চৌধুরী বক্সের মধ্যে কৃষ্ণকে অবৈধভাবে বাধা দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন। পেনাল্টি পায় এটিকেএমবি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কৃষ্ণ। এবারের আইএসএলে এটি তাঁর দ্বাদশ গোল। কিছুক্ষণ পরেও হরমনজ্যোৎ খাবড়া ডেভিড উইলিয়ামসকে অনেকটা একইরকম বাধা দিয়ে দলের উদ্বেগ বাড়ান। খাবড়া হলুদ কার্ড দেখলেএ এক্ষেত্রে পেনাল্টি পায়নি সবুজ মেরুন। যদিও ফ্রি কিক থেকে ৪৪ মিনিটের মাথায় দুরন্ত গোল করে এটিকেএমবি-কে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মার্সেলিনহো।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য ঝাঁপাতে থাকে সবুজ মেরুন। ৪৯ মিনিটে সন্দেশ ঝিঙ্গানের শট বাঁচান গুরপ্রীত। ৫২ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর শট প্রতিহত করলেও বাগান গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যকে সেভাবে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেনি বেঙ্গালুরু। তবে ৮৮ মিনিটের মাথাতেও সুনীলের ভালো শট রুখে দেন অরিন্দম। উইলিয়ামসের থেকে বল পেয়ে ৫৯ মিনিটের মাথায় তা প্রায় জালে জড়িয়ে দিচ্ছিলেন মনবীর। তবে এক্ষেত্রেও বেঙ্গালুরুর পরিত্রাতা সেই গুরপ্রীতই। পিছিয়ে থেকেও সুনীলদের খেলায় মরিয়া ভাব সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। তাই বাগান ডিফেন্সকেও তেমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। ম্যাচ হেরে ১৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রইল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু।