বার্সেলোনা ও মেসির বিরুদ্ধে জুভেন্তাস ও রোনাল্ডোর বদলা, ঘরের মাঠে লজ্জার হার স্প্যানিশ ক্লাবের
বার্সেলোনা ও মেসির বিরুদ্ধে জুভেন্তাস ও রোনাল্ডোর বদলা, ঘরের মাঠে লজ্জার হার কাতালান ক্লাবের
ঘরের মাঠে লিওনেল মেসির কাছে পরাস্ত হতে হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। বার্সেলোনার কাছে হেরেছিল জুভেন্তাস। ফলে বদলার আগুনে জ্বলছিল ইতালীয় ক্লাব ও পর্তুগিজ তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ স্তরের দ্বিতীয় সাক্ষাতে সুযোগ এসে যায় জুভেন্তাস এবং রোনাল্ডোর সামনে। সেই মুহূর্তে যে এভাবে তছনছ হতে হবে, তা হয়তো ভাবননি লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের লজ্জাজনক হার হজম করতে হল কাতালান ক্লাবকে।
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে দীর্ঘদিন স্প্যানিশ লিগ খেলার সৌজন্যে বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু সম্পর্কে সম্যক ধারণা আগে থেকেই ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। এই মাঠেই লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে একাধিক এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয়েছেন সিআর সেভেন। কখনও তিনি জিতেছেন, কখনও আবার হেরেছেন এলএম টেনের কাছে। ইতিমধ্যে স্পেন ছেড়েছেন রোনাল্ডা। গায়ে চাপিয়েছেন জুভেন্তাসের জার্সি। তা বলে মেসির সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে শেষ হয়নি, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন পর্তুগিজ তারকা।
ভাগ্যক্রমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ জি-তে একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জুভেন্তাস। দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে শেষ হাসি হেসেছিল স্প্যানিশ দল। ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হার হজম করতে হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দলকে। ব্যর্থ হয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা নিজে। গোল করেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি এবং ডেম্বলে। সেদিন মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছিলেন সিআর সেভেন। হয়তো মনে মনে বড় বিস্ফোরণের প্রতিজ্ঞাও নিয়েছিলেন।
তা বলে ক্রিশ্চিয়ানো ঢেউ যে সুুনামির মতো ক্যাম্প ন্যুতে আছড়ে পড়বে, তা হয়তো অতি বড় মেসি সমর্থকও আঁচ করেননি। ম্যাচের শুরু থেকেই মৃয়মান দেখায় এলএম টেনকে। অন্যদিকে বার্সেলোনার গোলমুখে আক্রমণের ঝড় তোলে রোনাল্ডো ব্রিগেড। জুভেন্তাসের ঘনঘন আক্রমণে খেই হারিয়ে ফেলেন বার্সার ডিফেন্ডাররা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ১৩ মিনিটে গোল দিয়ে জুভন্তাসকে এগিয়ে দেন সিআর সেভেন। ২০ মিনিটের মাথায় ইতালীয় ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় গোল দেন ওয়সটন ম্যাককেনি। হাফ টাইমে ২-০ ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্তাস।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় ইতালীয় ক্লাব। আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগিজ তারকাকে থামাতে ব্যর্থ হন বার্সার ডিফেন্ডাররা। ফলে পেনাল্টি আদায় করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি রোনাল্ডোকে। ৫২ মিনিটের স্পট কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করেন সিআর সেভেন।
এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচ খেলে ১৫ নিয়ে গ্রুপ জি-র শীর্ষ স্থানে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরবর্তী পর্বে পৌঁছলো জুভেন্তাস। সম পরিমাণ ম্যাচ খেলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল বার্সেলোনা। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে গিয়েছে লিওনেল মেসির দল।