Euro 2020: দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল, স্পেনের বিরুদ্ধে ক্রোটদের অবিশ্বাস্য কামব্যাক
কোপেনহেগেনে ক্রোয়েশিয়া ও স্পেনের মধ্যে প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। প্রথমার্ধে ১-১ ফল থাকার পর ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ লগ্নে ঝড় তুলে ম্যাচ ৩-৩ করে ক্রোয়েশিয়া।
দুই দলেই পরিবর্তন
কোপেনহেগেনে আজকের ম্যাচের প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করেছিলেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। জর্ডি আলাবা ও জেরার মোরেনোকে বেঞ্চে রেখে প্রথম একাদশে নামানো হয় ফেরান তোরেস ও হোসে গায়াকে। ইভান পেরিসিচ করোনা পজিটিভ হওয়ায় এই ম্যাচ থেকে ছিটকে যান। কার্ড সমস্যায় নামানো যায়নি দেজন লভরেনকে। ফলে চালেতা-কার ও রেবিচ ছিলেন জ্লাটকো দালিচের প্রথম একাদশে।
দাপট স্পেনের
প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়া যেখানে ২৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল, সেখানে ৭৩ শতাংশই ছিল স্প্যানিশ আর্মাডার দখলে। নিজেদের মধ্যে পাস খেলে আক্রমণ শানাচ্ছিল স্পেন। ১৬ মিনিটে পেদ্রির থেকে বল পেয়ে কোকের নেওয়া শট রুখে দেন ক্রোট গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ। ২০ মিনিটে মারাত্মক ভুল করে বসেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমোন। পেদ্রির নিরীহ লম্বা ব্যাক পাস ধরতে গিয়েছিলেন পোস্ট ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা স্প্যানিশ গোলকিপার। বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় তা চলে যায় গোলে। এবারের ইউরোতে এটি নবম আত্মঘাতী গোল, যা রেকর্ড।
প্রথমার্ধ ১-১
আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি স্পেন। আক্রমণের পথ থেকেও সরেনি। মাঝে ক্রোয়েশিয়া কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ক্রোট রক্ষণে চাপ বাড়িয়ে ৩৮ মিনিটে সমতা ফেরায় স্পেন। লুকা মড্রিচের হ্যান্ডবলে পেনাল্টির আবেদন জানিয়েছিল স্পেন। রেফারি খেলা চালিয়ে যেতে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে ক্রোট রক্ষণকে কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দেন স্পেনের ফুটবলাররা। গায়ার শট লিভাকোভিচ রুখে দিলেও ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করে সমতা ফেরান পাবলো সারাবিয়া। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল
দ্বিতীয়ার্ধেও ক্রোয়েশিয়া আক্রমণ তৈরি করলেও শুরু থেকে দাপট ছিল স্পেনেরই। তোরেস, সারাবিয়ারা লাগাতার চাপে রাখতে থাকেন ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগকে। ৫৭ মিনিটে ফেরায় স্পেন। বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা ফেরান তোরেসের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান সিজার আজপিলিকুয়েতা। দেশের হয়ে এটি তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। পিছিয়ে পড়ার পর মরিয়া লড়াই চালাতে থাকে ক্রোটরা। তবে বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করে বিপদ কাটান সিমোন। ৬৭ মিনিটে ভার্ডিয়োলের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান তিনি। ৭৬ মিনিটে স্পেনের তৃতীয় গোলটি করেন ফেরান তোরেস। ৮৫ মিনিটে মিসলাভ ওরসিচের গোলে ক্রোয়েশিয়া ব্যবধান কমায়। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইম তথা ম্যাচের ৯২ মিনিটে গোল করে ম্যাচ ৩-৩ করেন মারিও পাসালিক।