সারদা কেলেঙ্কারি ও আত্মহত্যা: কুণাল ঘোষ উপলব্ধি করেছিলেন ফিরে আসার পথ নেই
সিবিআই সূত্রের খবর, সারদা কেলেঙ্কারিতে প্রভাবশালীদের নাম না নেওয়ার জন্য কুণাল ঘোষের উপর ক্রমশ চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল। এই ক্রমবর্ধমান চাপ ও কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার মধ্যে যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই। যদিও কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই তাঁকে অনেককিছুরই আশ্বাস দিয়েছিল, যা শেষপর্যন্ত তারা কথা রাখতে পারেনি।
কুণালকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল তাঁকে রাজসাক্ষী করা হবে। অথচ সিবিআই-এর প্রথম চার্জশিটে মুখ্য অভিযুক্ত হিসাবে কুণাল ঘোষের নাম রয়েছে।
গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াটাই কুণাল ঘোষকে কোণঠাসা করতে
চার্জ শিট পেশ করার পর থেকেই একেবারে ভেঙে পড়েন কুণাল। এবং মনে করতে শুরু করেন এই গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াটা শুধুমাত্র তাঁকে কোণঠাসা করার জন্যই। যদিও সিবিআইকে কুণাল জানিয়েছিলেন তিনি তদন্তের কাজে সব রকমের সহযোগিতা করবেন।
তদন্ত চলাকালীন কুণাল সিবিআই-এর কাছে অনেকবারই একথা জানিয়েছিলেন যে তাঁকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। তিনি এটাও অনুভব করছিলেন যে, তিনি যে নামগুলি বলেছিলেন তা শুধুমাত্র তদন্তকে সংবেদনশীল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সবচেয়ে বড় কথা, সিবিআই প্রথম চার্জশিট পেশ করার পরেই বুঝতে পেরেছিল যে তিনি এমন একটা জায়গায় পৌছে গিয়েছেন যেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনকে নিজের শত্রু বানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
কুণাল ঘোষ প্রচণ্ড অধৈর্য: মন্তব্য সিবিআই-এর
যদিও সিবিআই-এর কথায়, একাধিক সংস্থা এই ঘটনার তদন্ত করছে। স্বভাবই সময় লাগবে। সিবিআই-এর এক সূত্রের কথায়, "ঘোষ প্রচন্ডভাবে অধৈর্য। সবসময় তাঁর অভিযোগ একা তাঁকেই টার্গেট করা হচ্ছে, কিন্তু আসলে তা একেবারেই নয়। বরং এসএফআই রিপোর্ট আমরা ভালভাবে দেখেছি, যা অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সুপারিশ করছে। এদের মধ্যে একটা নাম মদন মিত্রও বটে।"
একইসঙ্গে ওই সূত্র এও জানিয়েছে, "এই সমস্ত মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা এখনই কোনও নাম প্রকাশ করতে চাইনি। এমনকী আমরা যদি কুণাল ঘোষকে রাজসাক্ষী বানাইও তা হবে ট্রায়ালের সময়, এত তাড়াতাড়ি নয়। এটাই উনি বুঝতে পারছেন না।"