'গরু খোঁজা' খুঁজেও 'আত্মঘাতী' জঙ্গির সন্ধান পায়নি 'ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন'
নয়াদিল্লি, ১ জুলাই : দেশের একসময়ের সবচেয়ে বড় ও ভয়ঙ্কর জঙ্গিগোষ্ঠী বলে পরিচিত 'ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন' এখন অতীতের ছায়ামাত্র। বলা যায়, ভেঙে একেবারে খানখান হয়ে গিয়েছে গোটা সংগঠন। একটি অংশ 'সিমি'-র অংশ হয়েছে এবং বাকী অংশ 'আনসার-উত-তাওহিদ' নামে নতুন সংগঠন তৈরি করেছে।
জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার ভারতীয় সংস্করণ হিসাবে পরিচিত 'ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন' বা আইএম একসময়ে সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একেরপর এক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ করে।
বেশ কিছুদিন আগে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হয়েছে আইএমের মূল কাণ্ডারি ইয়াসিন ভাটকল। বহুদিন ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা তার জঙ্গি সংগঠন নিয়ে ইয়াসিন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যা জানিয়েছে তা শুনলে অবাক হতে হয়।
আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ভাবনা
ইয়াসিনের বক্তব্য, এমন কিছু কমবয়সী যুবকদের দলে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল যারা যেকোনও মুহূর্তে ছিনিয়ে নেবে নিরীহ মানুষের প্রাণ। বোমা, গুলি কোনওটাই চালাতে যাদের বিন্দুমাত্র হাঁত কাঁপত না এমন সব সাহসী ছেলে ছিল দলে। তবে পরে বোমা বিস্ফোরণের ছক থেকে বেরিয়ে এসে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানোর ভাবনা মাথায় আসে তাদের।
এলটিটিই জঙ্গিরা যেভাবে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে পারদর্শী, ঠিক হয়, আইএমও সেই একইবে 'ফিঁদায়ে' হানা চালাবে সারা দেশে। এভাবে এমন এক জ্যাকেট তৈরি করা হয় যেটির ভিতরে শক্তিশালী বিস্ফোরক ভরা ছিল। টার্গেট এলাকায় গিয়ে তা বিস্ফোরণ ঘটালেই মারা যাবে বহু মানুষ।
আত্মঘাতী জঙ্গির অভাব
এবার বিস্ফোরণ কে ঘটাবে তা নিয়ে যেই খোঁজ শুরু হয়,একের পর এক জঙ্গি পিছিয়ে আসে। ইয়াসিন জানিয়েছে, তার দলের যুব জঙ্গিরা কেউই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের অংশীদার হতে রাজি ছিল না। বহু চেষ্টা করেও কাউকেই পাওয়া যায়নি বলে একইকথা জানিয়েছে ইয়াসিন ভাটকলের পর আইএমের দায়িত্বে থাকা তেহসিন আখতার নামে আর এক খ্যাতনামা জঙ্গি।
আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
পাকিস্তানের সংগঠন আইএসআইয়ের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে এনআইএকে ভাটকল জানিয়েছে, আইএসআই সাহায্য করলে তারা আরও বড় শক্তিরূপে ভারতে নাশকতা চালাতে পারত।
২০০৮
মুম্বই
হামলার
কায়দায়
ফের
হামলার
পরিকল্পনা
মুম্বইয়ে তাজ হোটেলে প্রায় তিনদিন ধরে সাধারণ মানুষকে আটকে রেখে হামলার কথাও ভেবেছিল আইএম। তবে এক্ষেত্রেও উপযুক্ত লোকের অভাবই তাদের স্বপ্ন পূর্ণ করতে দেয়নি বলে এনআইএকে জানিয়েছে ভাটকল।