ভারতের একমাত্র গ্রাম যেখানে বিড়াল পূজিত হয় দেবী রূপে
বিক্কালেলে গ্রামে ঠিক উলটপুরাণ। কর্ণাটকের মান্ডিয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামে বাঘের মাসিকে দেবী রূপে পূজা করা হয়।
বিড়াল রাস্তা কাটলে কোনও দুর্যোগের আশঙ্কায় মন ত্রস্ত হয়ে ওঠে। তবে বিক্কালেলে গ্রামে ঠিক উলটপুরাণ। কর্ণাটকের মান্ডিয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামে বাঘের মাসিকে দেবী রূপে পূজা করা হয়। শুধু তাই নয়, বিড়াল দেবীর জন্য তিনটি আলাদা মন্দিরও রয়েছে গ্রামে।
[আরও পড়ুন:বাড়িতে কুকুর-বেড়াল পুষলে এই জায়গায় দিতে হবে কর,চাই লাইসেন্স , জানুন বিস্তারিত]
এই প্রথা গ্রামে ১ হাজার বছর আগে শুরু হয়েছে। বিড়ালকে এখানে ডাকা হয় মনগাম্মা দেবী রূপে। গ্রামবাসীরা মনে করেন, বিড়ালদেবী আপদে-বিপদে তাদের ও গোটা গ্রামকে রক্ষা করবেন।
এক গ্রামবাসী বলেন, মনগাম্মাদেবী স্বপ্নে আমাদের পূর্বপুরুষকে দেখা দেন। নানা শক্তি দেখিয়ে তিনি চলে যান। তারপরই দেখা যায় গ্রামে একটি ঢিবি হয়ে রয়েছে। তারপরই পূর্বপুরুষেরা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিড়ালের আরাধনা শুরু করেন দেবী রূপে।
গ্রামে কেউ বিড়াল তাড়িয়ে দেন না। বরং আপন করে নেন। কেউ বিড়ালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে গ্রামে শাস্তি পেতে হয়। কোনও বিড়াল গ্রামে মারা গেলে গ্রামবাসীরা তা কবর দেন। বিড়ালের উপরে অত্যাচার করলে গ্রাম থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।
আগে এই গ্রামের নাম ছিল মারজালাপুরা। সংষ্কৃতে মারজালার অর্থ বিড়াল। আর পুরার অর্থ শহর। এখন নাম বদলে হয়েছে বিক্কালেলে। কন্নড়ে বিক্কু শব্দের অর্থ হল বিড়াল। আর এভাবেই সবকিছুর সঙ্গে বিড়াল প্রীতিকে জুড়ে দিয়েছেন এখানকার মানুষ।
[আরও পড়ুন:(ছবি) জনপ্রিয় কার্টুন 'টম অ্যান্ড জেরি' নিয়ে এই ১০টি তথ্য সম্ভভত আপনি জানেন না]