হোলি উৎসবের পেছনে কি অজানা গল্প লুকিয়ে রয়েছে আসুন জেনে নিই একনজরে
ভারতের বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে হোলি হল রঙীন এক উৎসব। যেখানে অশুভ শক্তির ওপর ভালো শক্তির জয়কে উদযাপন করা হয় এবং বসন্তকে স্বাগত জানানো হয়। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে রঙীন উৎসব হল হোলি। দেশের সব ভাষার মানুষরাই এই হোলি উৎসব পালন করে। তবে হোলির জনপ্রিয়তা হল 'রঙের উৎসব’ এবং বসন্তকে স্বাগত জানানো। এই উৎসবকে ঘিরেও বহু প্রচলিত কাহিনী রয়েছে যা আপনারা জানার পর আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে হোলি পালন করবেন।
ভক্ত প্রহ্লাদ ও বিষ্ণুর কাহিনী
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর এক ভক্ত নাম প্রহ্লাদ, যে হিরণ্যকাশ্যপের পুত্র ছিল। প্রহ্লাদ ছিল বিষ্ণুর ভড় ভক্ত, কিন্তু হিরণ্যকাশ্যপ তাঁর ছেলেকে বিষ্ণুর পুজো করতে বাধা দিত। যে জন্য নিজের বাবাই তাঁর ছেলেকে হত্যা করার নানান পরিকল্পনা করত, কিন্তু প্রত্যেক বারই প্রহ্লাদকে বিষ্ণু বাঁচিয়ে নিতেন। রাজার বোন প্রহ্লাদকে হত্যার জন্য আগুনের ওপর তাকে কোলে নিয়েও বসেন, কিন্তু বিষ্ণুর দৈবশক্তিতে তা নিভে যায়। ভক্ত প্রহ্লাদ বেঁচে গেলেও হিরণ্যকাশ্যপের বোন হোলিকা পুড়ে যায়।
কৃষ্ণ ও হোলি
হোলির সঙ্গে কৃষ্ণের যোগ নিবিড়। বলা হয় ভগবান কৃষ্ণ তাঁর ফ্যাকাশে নীল রঙের জন্য রাধা ও গোপিকাদের কাছে যেতে ভরসা পেতেন না। কিন্তু মা দেবকী কৃষ্ণকে বোঝান যে ভালোবাসা দিয়েই সব জয় করা যায়। এরপর থেকেই কৃষ্ণ তাঁর প্রেমের মোহ দিয়ে সকলকে আকর্ষণ করতে শুরু করে। তারপর থেকেই হোলি প্রেমের উৎসব বলেও পরিচিত হয়।
কামদেব ও শিবের কাহিনী
অনেক মানুষ আবার বিশ্বাস করেন যে কামদেব বা প্রেমের দেবতাকে জ্বালিয়ে দেন ভগবান শিব তাঁর তৃথীয় চক্ষু খুলে দিয়ে। এই কারণে ইন্দ্রদেব ও কামদেব পুনরায় জন্মান ভগবান কৃষ্ণের পুত্র হিসাবে। কিন্তু সেটা আলাদা গল্প। হোলির সময় মানুষ আম পল্লব ও চন্দনের মিশ্রণ শিবের গায়ে লেপে দেন।
উৎসব এক নাম হরেক
একেক জায়গায় হোলির ভিন্ন নাম। মহারাষ্ট্রে হোলিকে রং-পঞ্চমী বলে, উত্তরপ্রদেশের মথুরাতে এটি লাঠি-মার হোলি নামে পরিচিত। আবার হরিয়ানাতে দুলান্দি হোলি, পাঞ্জাবে হোলা মহল্লা, বিহারে ফাগওয়ান, গোয়াতে শিংগো, তামিলনাড়ুতে কামন পন্ডিগাই ও পশ্চিমবঙ্গে দোল পূর্ণিমা বা বসন্ত উৎসব।