কারণ না দর্শীয়ে আফগান বোর্ডের ক্রিকেট ডিরেক্টরের পদ থেকে হামিদ শিনওয়ারির অপসারণ
কারণ না দর্শীয়ে আফগান বোর্ডের ক্রিকেট ডিরেক্টরের পদ থেকে হামিদ শিনওয়ারির অপসারণ
কোনও কারণ না দর্শীয়েই হামিদ শিনওয়ারিকে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর পদ থেকে সরিয়ে দিল তালিবান। পরিবর্তে তালিবানি সরকারের নতুন গৃহমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ছোট ভাই বলে পরিচিত নাসিবুল্লাহ হাক্কানিকে এই পদে বসানো হয়েছে। সোমবার আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে বড় রদবদলটি করা হলে একদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যুতে সরব হন হামিদ শিনওয়ারি। জানান যে কোনও কারণ না দর্শীয়ে তাঁকে কেবল ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছিলেন হামিদ শিনওয়ারি। ইতিমধ্যে তালিবান আফগানিস্তানে ফের কব্জা করলে তিনি যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না, তা নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে একাধিকবার জানিয়েছেন হামিদ। পরিশেষে এসিবি-র ক্রিকেট ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারিত হয়ে যে তিনি হতাশ, তা নিজের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তালিবানি সরকারের মন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ছোট ভাই নাসিবুল্লাহ হাক্কানি যে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন, তা তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শিনওয়ারি। যদিও নাসিবুল্লাহ সত্যিই আফগান মন্ত্রীর আত্মীয় কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
তালিবানি শাসনে সোমবারই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন আজিজুল্লাহ ফজলি। দায়িত্ব নিয়েই তিনি প্রথমেই বোর্ডের নতুন সিইও-র নাম ঘোষণা করেন। তালিবানি শাসনে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বা সিইও নির্বাচিত হওয়া নসিব জারদান খানের কাছে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সে দেশের ক্রিকেটকে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন বলেও জানানো হয়েছে। আজিজুল্লাহ ও নসিব তালিবানি ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, তাঁরা আফগান মহিলাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে বলে আশা করে না বিশ্ব।
দুই দশকেরও বেশি সময় পর গত অগাস্টে আফগানিস্তানে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করেছে তালিবান। এরপর ক্রমান্বয়ে আফগান মহিলাদের স্বাধীনতা হরণ করতে শুরু করে নতুন প্রশাসকরা। সবশেষে ক্রিকেট সহ অন্যান্য ক্রীড়ায় মহিলাদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে তালিবান। তা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এভাবে চললে তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে ভবিষ্যতে আর ক্রিকেট খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাতেও যে তালিবানরা নড়চড়ে বসে না, তা বলাই বাহুল্য। ওদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আফগানিস্তানেও আইপিএলের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। বাড়িতে বসে পুরুষদের সঙ্গে রশিদ খান, মহম্মদ নবি, মুজিব উর রহমানদের খেলা দেখতে মুখিয়ে থাকেন আফগান মহিলারা। আর সেটাই চাইছে না তালিবান। মহিলাদের নাচ-সহ ইসলাম-বিরোধী বিষয় থাকার আশঙ্কা থেকেই আইপিএল সম্প্রচার আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।