মাদক বিতর্ক পেরিয়ে আইপিএল মঞ্চে কিং পুত্র আরিয়ান
বলিউড বাদশাহ কিং খান। তাঁর ছেলে ধরা পড়লেন মাদক কাণ্ডে। সে কী হৈ হৈ কাণ্ড। ছেলেকে সামলাতে প্রায় এক মাস ধরে কিং রাজ্য পতনের জায়গায়। ক্রুজ পার্টি। মহিলা মডেলের সঙ্গে ছেলের নাম জড়িয়ে যাওয়া কী কাণ্ডই না হয়েছে আরিয়ান খানকে নিয়ে। কী করে ছেলেকে ছাড়বেন ভাবতে পাগল পাগল অবস্থা হয়েছিল শাহরুখের। এদিকে প্রতিদিন ফলাও করে আরিয়ান কাণ্ড ছাপা হচ্ছে , দেখানো হচ্ছে টিভিতে। মুখ ঢাকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরিয়ানকে। যা তা অবস্থা। সবাই ভেবেছিল আরিয়ান কী চট করে আর জনসমক্ষে আসবেন?
তিনি এসেছেন। তাও আবার একদম আইপিএল মেগা নিলামে। বসে রয়েছেন কেকেআর ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঠিক জুহি চাওলার মেয়ের পাশে। বলা যেতে পারে সবরকম সমস্যা কাটিয়ে কিং পুত্র একদম সবার সামনে। তাও আবার আইপিএলের মতো মেগা ইভেন্টের নিলাম মঞ্চে। বাবা কোনও দিন নিলামে আসেননি। বিতর্ক এড়িয়ে তিনি বললেন ব্যবসা বুঝে নিতে। রাজত্ব সামলাতে হবে যে। তিনি হয়তো এখন।মাদক বিতর্ক আর এমন জনসমক্ষে আসা নিয়ে বাবার ছবির ডায়লগ বলছেন, 'বড়ি বড়ি দেশো মে এইসি ছোটি ছোটি বাতে হোতি রহেতি হ্যায়'।
প্রসঙ্গত ছেলেকে গ্রেফতারের ২৮ দিন পর কাছে পেয়েছিলেন বাদশাহ। ছাড়া পাওয়ার দিন সাত সকালেই কিং খান পৌঁছে গিয়েছিলেন আর্থাররোড জেলে। ওই দিন সকালে মন্নতে যেন উৎসবের আমেজ ছিল। আলোয় সেজেছিল মান্নত। সময়ের আগেই দীপাবলি এসে গিয়েছিল শাহরুখের বাড়িতে। শাহরুখের যখন আর্থার রোড জেলে পৌঁছন তখন জামিনের কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি শাহরুখকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই খুলে যায় জেলের গেট। বেরিয়ে আসেন আরিয়ান খান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঘিরে ফেলেন শাহরুখের দেহরক্ষীরা। আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। গাড়িতে উড়ে সঙ্গে সঙ্গে মন্নতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। অল্প সময়ের মধ্যেই মন্নতে পৌঁছে যান তাঁরা।
আরিয়ান খান জামিন পেতেই বলিউডের তারকারা শাহরুখকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে দিয়েছিলেন। টুইটে শাহরুখতে শুভেচ্ছা জানান সকলেই। অনৈতিক ভাবে আরিয়ানকে জামিন দেওয়া হচ্ছিল না বলে দাবি করেছিলেন একাধিক অভিনেতা। তাঁরা জানিয়েছিলেন জোর করে আটকে রাখা হয়েছে আরিয়ানকে। আর তারকা পুত্র বলে বেশি বেশি করে হাইলাইট করা হচ্ছে পুরো ঘটনাকে। সুনীল শেট্টি থেকে শুরু করে সোনু সুদ, স্বরা ভাস্কর সকলেই শাহরুখের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই ঘটনায়। ছেলের জামিন করাতে দিন রাত এক করে দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। এনসিবি আরিয়ানের বিরুদ্ধে দৈনিক মাদক সেবনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেকারণে প্রতিদিন এনসিবির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে আরিয়ানকে। সে সব ভুলে নিলাম মঞ্চে তিনকি হাজির।
এদিকে শ্রেয়স আইয়ার ১২.২৫ কোটি টাকায় তাঁকে কিনল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাকে কি অধিনায়ক করবে এবার কেকেআরের ? কারণ দল অধিনায়কত্ব সমস্যা নিয়ে ভুগছে গম্ভীর যাওয়ার পর থেকেই। দীনেশ কার্তিককে ভার দিলেও সাফল্য আসেনি তেমন। গত দুই বছরে বিতর্ক বেড়েছে। মাঝ রাস্তায় অধিনায়ক হন মর্গ্যান। এবার মর্গ্যান গত বছর দলকে ফাইনালে তুললেও নিজে চূড়ান্ত ব্যর্থ। অধিনায়ক হওয়ায় তাকে বসানো যাচ্ছিল না। কেকেআর এবার চাইছিল ফ্রেশ অধিনায়ক। অঙ্ক বলছে তারা পেয়ে গেল তাকে। তবে কী মুম্বইকর হলেও দিল্লি থেকেই অধিনায়ক আনছে শাহরুখের দল? উত্তর দেবে সময়।
আইপিএল ২০২২ নিলাম ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় সময় সকাল ১১টায় নিলাম শুরু হয়। এই বছরের নিলামটি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির জন্য সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক হবে কারণ প্রতিটি দলের পার্স হ্রাস করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে এই বছরের আইপিএল ২০২২ মেগা নিলামে ৬০০ জন খেলোয়াড়ের একটি তালিকা দেখানো হয়েছে। দুটি নতুন দল - গুজরাট টাইটানস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস যোগ করার সাথে, ১০ টি দল ইভেন্টে অংশ নেবে।
পরবর্তী ২ দিনের মধ্যে হাতুড়ির নিচে যাওয়ার জন্য ৫৯০ জন খেলোয়াড়কে শর্টলিস্ট করা হয়েছে। ৫৬১.৫ কোটি টাকার সর্বোচ্চ পার্স সহ দলগুলি দুই দিনের মেগা নিলামে যাবে। এই টাকায় ১৫ তম মরসুমের জন্য তাদের স্কোয়াড তৈরি করতে চাইবে৷ অতীতে আইপিএল নিলাম সবসময়ই আগ্রহ তৈরি করেছে কারণ বড় তারকারা প্রচুর অর্থ আয় করে এবং কিছু কম পরিচিত খেলোয়াড় মিলিয়ন ডলারের কেনাকাটা এবং অবশেষে পরিবারের নাম হয়ে যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, রোহিত শর্মা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে রেকর্ড পাঁচটি আইপিএল শিরোপা জিতেছেন কারণ তার দল চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের পাশাপাশি লীগে প্রভাবশালী শক্তি ছিল। তবে, স্কোয়াডে বড় নাম থাকা সত্ত্বেও দলটি প্লে-অফের আগেই বিপর্যস্ত হওয়ায় পল্টনের পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ মরসুমে যায়নি। এমআই রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ, সূর্যকুমার যাদব, এবং কায়রন পোলার্ড ধরে রেখেছে।