আইপিএলের বাকি ম্যাচ হবে না ভারতে, সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল বিসিসিআই, চূড়ান্ত দেশও
আইপিএলের বাকি ৩১টি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আয়োজন করার পথেই হাঁটল বিসিসিআই। আজ মুম্বইয়ে বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। টি ২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুদিন সময় আইসিসি-র কাছে চেয়ে নেবে বোর্ড।
আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই
বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, টি ২০ বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে যে ফাঁকা সময় রয়েছে সেই সময়ই সেরে ফেলা হবে আইপিএল। উল্লেখ্য, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এবং জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেও চারটি দলের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২ মে-র পরেই আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। চেন্নাই সুপার কিংসের মাইক হাসি, লক্ষ্মীপতি বালাজি ও এক বাসকর্মীর করোনা ধরা পড়েছিল। দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়রের করোনা ধরা পড়ে আইপিএল স্থগিতের আগেই। আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর করোনা পজিটিভ হন কেকেআরের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও টিম সেইফার্ট।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
বর্ষা যখন কারণ
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে বিসিসিআই জানিয়েছে, ভারতে বর্ষার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ। জুন থেকে সাধারণত অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। ফলে এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে সকলে সর্বসম্মতভাবেই আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে করার বিষয়ে সহমত পোষণ করেন।
টি ২০ বিশ্বকাপ নিয়ে
টি ২০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এদিনই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিসিআই। ১ জুন আইসিসি-র বৈঠক রয়েছে। বিসিসিআইয়ের এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি, বিশেষ করে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকায়, টি ২০ বিশ্বকাপ অক্টোবরে ভারতে আয়োজন করা যাবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আইসিসি-র কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হবে। বোর্ডসূত্রে খবর, জুলাই মাসেই ভারতে অনুষ্ঠেয় টি ২০ বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তবে যেহেতু আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সরেই গেল, সেক্ষেত্রে সেখানেই টি ২০ বিশ্বকাপ সরানোর ইঙ্গিতও রইল। সেক্ষেত্রে আইপিএল খেলেই বিশ্বকাপের জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়তে পারবেন ক্রিকেটাররা। তবে পিচের চরিত্র কেমন থাকবে বা স্টেডিয়ামগুলি আইসিসিকে কবে হস্তান্তর করা হবে, সেই সব বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হবে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
অন্য বোর্ডগুলির সঙ্গে কথা
আইপিএলে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা খেলেন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সফরও রয়েছে। ইংল্যান্ড যেমন কার্যত জানিয়েই দিয়েছে, আইপিএলের বাকি অংশ খেলার জন্য ক্রিকেটারদের ছাড়া হবে না। তবে যেসব দেশের ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলেন সেই সব বোর্ডের সঙ্গেও কথা বলবে বিসিসিআই। কেন না, বিদেশিরা না থাকলে জৌলুস কমে যাবে আইপিএলের। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা প্রথম থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই আইপিএল করতে চাইছিলেন। বিসিসিআই গতবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএল সফলভাবে আয়োজনের পর ভেবেছিল জৈব সুরক্ষা বলয় করে এখানে আইপিএল হলে অসুবিধা হবে না। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজও ভালোভাবেই হয়। ইংল্যান্ডে আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু হোটেল, স্টেডিয়াম-সহ জৈব সুরক্ষা বলয়ের পরিচিত পরিবেশ ও গতবারের সুখকর সফল অভিজ্ঞতার কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই আইপিএল সম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত হলো।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)