মাটি-র কাছাকাছি পাপালি-র ঋদ্ধিমানে উত্তরণ, ক্রিকেট নিয়ে সরাসরি ওয়ান ইন্ডিয়ায়
ভারতীয় দল, বাংলা, হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে-র জার্সি গায়ে খেলা, সব জায়গাতেই একইরকম স্বচ্ছন্দ উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। কথা বললেন ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার সঙ্গে।
বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলার ক্রিকেট গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও একইরকমের স্বচ্ছন্দ। উইকেটের সামনে -পিছনে একইরকমের স্বচ্ছন্দ। দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি থেকে কোচ রবি শাস্ত্রী সকলেই ঋদ্ধির প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত। তবে ঋদ্ধি কিন্তু একইরকমভাবে মাটির কাছাকাছি শিলিগুড়ির পাপালি।
ওয়ান ইন্ডিয়া: রনজি ম্যাচে বাংলার পারফরম্যান্স সেভাবে ভাল হচ্ছে না কারণ কী মনে হয় ?
ঋদ্ধি- বাংলার দল বিজয় হাজারে বা সৈয়দ মুস্তাক আলিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও রনজিতে নিয়মিত সেমিফাইনাল বা ফাইনাল খেলতে পারছে না। আসলে দলের চার থেকে পাঁচজন নিয়মিত পারফর্ম করছে, অন্যদিকে বাকি ছ'জন ধারাবাহিকভাবে পারফরমেন্স করতে পারছে না। এভাবে তো সর্বোচ্চ স্তরের প্রতিযোগিতায় সেরার লড়াইতে থাকা যায় না। তারপর দুটো ম্যাচে ব্যর্থ হলে অন্য একজনকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আসলে যে ব্যর্থ হচ্ছে তাঁর ওপরই ভরসা রাখতে হবে, তাঁকে আরও সুযোগ দিতে হবে, বোঝাতে হবে দলে তাঁর পারফরমেন্স প্রয়োজন। বোঝাতে হবে ব্যাটে পার্টনারশিপ করতে হবে বল যাঁরা করেন তাঁদের অন্তত দুটো করে উইকেট নিতে হবে। তবেই কিন্তু একটা দল হিসেবে ভাল পারফর্ম করতে পারবে বাংলা দল।
ওয়ান ইন্ডিয়া : এবারের বাংলা দল নিয়ে কতটা আশাবাদী? আর ফর্মাটও বদলেছে তাতে কতটা সুবিধা হবে?
ঋদ্ধি-কিছু নতুন প্লেয়ারদের নেওয়া হয়েছে। পারফরম্যান্স করেই নিশ্চয় ছেলেরা দলে এসেছে। দেখা যাক কী হয়। ফর্মাটে বদলে ভাল হবে কিনা জানি না। আমার মতে ম্যাচ কমে কোনও লাভ নেই। যত বেশি ম্যাচ খেলা হবে তত লাভ। এবার ম্যাচ কমলে আরও সিরিয়াস হতে হবে। ছোট দল বা বড় দল সব ম্যাচেই জিততে হবে। কারণ সুযোগের সংখ্যা কমে যাবে মূলপর্বে যাওয়ার জন্য।
ওয়ান ইন্ডিয়া : মেয়েদের দল বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করেছে, কী করলে আরও উন্নতি হবে বলে মনে হয়?
ঋদ্ধি- ছেলে বা মেয়েদের বলে কোনও পার্থক্য নেই। ভাল পারফরম্যান্স করতে হলে আরও বেশি সংখ্যক ম্যাচের মধ্যে থাকতে হবে। কারণ ম্যাচ সিচুয়েশনের মধ্যে থাকলেই ম্যাচ টেমাপারামেন্ট তৈরি হয়। এবারেও মেয়েরা বিশ্বকাপ খেলার ঠিক আগে অনেকগুলি প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট খেলছে। আর এর ফলটাই ভারতীয় মহিলারা ইংল্যান্ডে পেয়েছে।
ওয়ান ইন্ডিয়া : ক্লাব ক্রিকেট, বাংলা দল ভারতীয় দল একজন ক্রিকেটার হিসেবে কতটা বদলেছেন?
ঋদ্ধি- ক্রিকেট খেলায় কোনও বদল হয় না। আসলে আমি মোহনবাগানের জার্সি গায়ে যখন খেলি, যখন বাংলার জার্সি গায়ে খেলি আবার যখন ভারতের জার্সি গায়ে খেলি, তখন একটাই মাইন্ড সেট-আপে খেলি। সেটা হল দলের কাজে যেন আমি লাগতে পারি। দলে যেন আমার কনট্রিবিউশন থাকে। এটা যদি ঠিক থাকে তাহলে কার হয়ে খেলছি সেটায় কোনও পার্থক্য হয়না। আসলে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ আমি খেলেত ভালবাসি। আমি যদি ফাঁকা থাকি তাহলে ক্লাব হোক বা অফিস- সব খেলাই খেলি। ছোট থেকেই এভাবেই নিজেকে তৈরি করেছি আমি। আইপিএল খেলে এসেও পরের দিন ট্রাভেল করে ম্যাচ খেলতে যাই। আমি এরকমই।
ওয়ান ইন্ডিয়া : দীর্ঘদিন ধরেই ময়দানে এই কথা প্রচলিত ধোনি থাকায় ঋদ্ধির খেলার সুযোগ কমে গেছে?
ঋদ্ধি- নো-কমেন্ট
ওয়ান ইন্ডিয়া : ওয়ান-ডে তে যে খেলতে পারেন না তাতে আক্ষেপ নেই?
ঋদ্ধি- নির্বাচন আমার হাতে নেই। ওটা নির্বাচকদের হাতে। আক্ষেপ করেও লাভ নেই, নিজেকে প্রেসারাইজ করেও লাভ নেই। সব সময় সামনে তাকাতে হবে। হ্যাঁ- নিশ্চয় ওই জায়গাটার জন্যই সকলে লড়ছে, ওই স্বপ্নটা নিয়েই বড় হওয়া।
ওয়ান ইন্ডিয়া : এত পজিটিভ থাকেন কী করে?
ঋদ্ধি- আর কিছু জানিনা , শুধু পজিটিভটাই থাকতে জানি, তাই এটাই করি। এর বাইরে আর কী করব।