সৌরভের ভারত অধিনায়ক হওয়ার পথে কাঁটা ছিলেন বিসিসিআই সুপ্রিমো এবং কোচ!
সৌরভের ভারত অধিনায়ক হওয়ার পথে কাঁটা ছিলেন বিসিসিআই সুপ্রিমো এবং কোচ!
২০০০-এর অস্থির সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়ার পথ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য যে মসৃণ ছিল না, তা সবারই জানা। এমনকী মহারাজকে দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচন করতেও কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল জাতীয় নির্বাচকদের। টিম ইন্ডিয়ার তৎকালীন কোচ নাকি সেই সময় সৌরভের বিপক্ষে কথা বলেছিলেন। তবু সব বাধা পেরিয়ে, যে যে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে প্রথমে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক ও পরে অধিনায়ক হয়েছিলেন বিসিসিআই সভাপতি, তাঁদের তালিকা দেখে নেওয়া যাক। সে কথা জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সেই সময়ের জাতীয় নির্বাচক অশোক মালহোত্রা।
মাদার ইন্ডিয়া
নারীকেন্দ্রিক গল্পের সূত্রপাত হিসাবে এই সিনেমার নাম উল্লেখ করা যেতেই পারে। এই প্রথমবার ভারতীয় সিনেমায় শক্তিশালী নারীকেন্দ্রিক চরিত্রের আমদানি করা হয়। এক মা যিনি কোনও অবস্থাতেই নিজের নীতি আদর্শ থেকে পিছপা হননি। নার্গিস এই সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডের ইতিহাসে চিরকালের জন্য জায়গা করে নেন।
সহ-অধিনায়ক সৌরভ
স্মৃতির সরণী দিয়ে হেঁটে অস্থির ২০০০ এবং তার আগের সময়ে ফিরে গিয়েছেন সেই সময়ের জাতীয় নির্বাচক তথা দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক মালহোত্রা। এমন একটা সময়ের কথা তিনি বলেছেন, যখন ভারতীয় ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। সেই সময় ছোটবাবুর ডেপুটি হিসেবে বড়বাবুকে নির্বাচন করা হয়েছিল। সেই কাজে তাঁদের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচক অশোক মালহোত্রা।
অর্থ
সত্তর-আশির দশকে শক্তিশালী মহিলা অভিনেত্রীদের অন্যতম শাবানা আজমি এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে ছিলেন। স্বামীর প্রতারণার শিকার এক মহিলা কীভাবে জীবনযুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হবে, তার গল্প এই সিনেমায় বলা হয়েছে।
বেঁকে বসেছিলেন কোচ
কারও নাম না করে অশোক মালহোত্রা জানিয়েছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হোন, তা চাননি খোদ হেড কোচ। জানিয়েছিলেন, ম্যাচের সময় প্রচুর পরিমাণ কোল্ড-ড্রিংস খান মহারাজ। সৌরভের রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও মন্থর বলে ওই কোচ খেদ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন মালহোত্রা। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা টিম ইন্ডিয়ার সেই কোচকে সৌরভের পক্ষে রাজি করিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচক।
অস্তিত্ব
এই সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তাব্বু। স্বামী ও পুত্র তাঁর সব ভূমিকায় নাক গলাচ্ছে। এই অবস্থায় সংসার থেকে বেরিয়ে এসে নিজের মতো করে জীবনকে উপভোগ করার গল্পই এই সিনেমায় বলা হয়েছে।
অরাজি বিসিসিআই সভাপতি
অশোক মালহোত্রা বলেছেন, ৩-২ ভোটে এগিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক প্রায় হয়েই গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় বিসিসিআইয়ের তৎকালীন সভাপতি এবং চেয়ারম্যান তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচক মালহোত্রা। কারও নাম না করেই তিনি বলেছেন, এমন ঘটনা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে আর ঘটেনি।
লজ্জা
লজ্জা সিনেমায় জানকীর মতো শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাধুরী দীক্ষিত। নিজের আত্মমর্যাদের খাতিরে প্রিয়জনদের বিরুদ্ধে গিয়ে লড়াই করতে হয়েছে জানকীর মতো চরিত্রকে। আর তাতে তিনি সফলও হয়েছেন।
সরে গিয়েছিলেন এক
স্মৃতি হাতড়ে অশোক মালহোত্রা জানিয়েছেন, বিসিসিআই সভাপতি ও চেয়ারম্যানের চাপে সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন এক নির্বাচক। ফলে ২-৩ ভোটে ফের পিছিয়ে পড়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। লড়াইয়ে তাঁর থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন অজয় জাদেজা এবং অনিল কুম্বলে। অন্তত বিসিসিআই সভাপতি তেমনটাই চাইছিলেন বলে জানিয়েছেন মালহোত্রা। তবে তিনি সহ মোট দুই নির্বাচক, মহারাজকে টিম ইন্ডিয়ার সহ অধিনায়ক বাছতে বদ্ধপরিকর ছিলেন বলেও জানিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক। অবশেষে সেই যুদ্ধে তাঁরা জয়ী হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন মালহোত্রা।
এনএইচ ১০
এই সিনেমাটি ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছে। এটি অনুষ্কার প্রথম প্রযোজনা। এই সিনেমায় যে নারীচরিত্রে অনুষ্কা অভিনয় করেছেন সেই নারী নিজের অধিকারের জন্য, সম্পর্কের জন্য লড়াই করেছেন। এমনকী নিজের অধিকারকে রক্ষা করতে কড়া হাতে শত্রুদের দমন করতেও তিনি পিছপা হননি।
কীভাবে অধিনায়ক সৌরভ
অশোক মালহোত্রা জানিয়েছেন, আচমকাই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। দলের নতুন নেতা হিসেবে অভিজ্ঞ অজয় জাদেজা এবং অনিল কুম্বলে এগিয়ে থাকলেও সেই সময় রীতিমতো লড়াই করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নির্বাচন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচক। এ ব্যাপারে প্রত্যেককে রাজি করাতে তাঁকে ওভার টাইম করতে হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মালহোত্রা।
মর্দানি
বহুদিন পরে সিনেমার পর্দায় ফিরে নারীকেন্দ্রিক চরিত্র অভিনয় করেছেন রানি মুখোপাধ্যায়। এই সিনেমায় রানি এক মহিলা পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পুরো গল্পটিই আবর্তিত হয়েছে রানিকে কেন্দ্র করে ও নারীকেন্দ্রিক সিনেমার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে এই সিনেমা।
খুশি মালহোত্রা
এত লড়াই-সংগ্রাম করে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ওই স্থানে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন অশোক মালহোত্রা। ভারতীয় ক্রিকেটকে সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক উপহার দিতে পেরে তিনি খুশি বলেও জানিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক।
ইংলিশ-ভিংলিশ
বড়পর্দায় বহুদিন পরে এই সিনেমা নিয়ে ফেরেন শ্রীদেবী। গৃহবধূ থেকে উঠে এসে স্বাবলম্বীভাবে নিজের সম্মান আদায়ের এক সুন্দর গল্প এই সিনেমাতে বলা হয়েছে। নিজের ইচ্ছেমতো জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারার স্বাধীনতার কথাই এই সিনেমায় বলা হয়েছে।
পিঙ্ক
২০১৬ সালের সবচেয়ে চর্চিত সিনেমার একটি ছিল পিঙ্ক। অমিতাভ বচ্চন এই সিনেমায় অসাধারণ ভূমিকায় অভিনয় করলেও মুখ্য চরিত্রে ছিলেন তাপসী পান্নু। গল্পটি একেবারেই মহিলাকেন্দ্রিক। মহিলার সম্মানরক্ষায় সমাজের সঙ্গে লড়ে স্বীকৃতি আদায়ের গল্প এই সিনেমায় বলা হয়েছে।
কাহানি
সুজয় ঘোষ পরিচালিত কাহানি সিনেমাটিতে বিদ্যা বালন এক স্বাবলম্বী মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যিনি নিজের পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্য করতে গিয়ে ইস্পাত কঠিন হয়ে উঠেছেন। এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা বিদ্যা বালন অসাধারণ অভিনয় করেন।
কুইন
কুইন সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। এক সাধারণ নারী থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প রয়েছে কুইন সিনেমায়। নারীকেন্দ্রিক এই গল্প সকলের মনে ধরেছে।
হাইওয়ে
নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও শক্তিশালী নারী চরিত্রে অভিনয় করে নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। যত ধরনের অপমান, গঞ্জনা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে সত্যের পথে চলার এক অনন্য গল্প এই সিনেমায় বলা হয়েছে।