দুই যুগেরও বেশি সময় পর কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটের ফেরার সম্ভাবনা প্রবল
দুই যুগেরও বেশি সময় পর কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটের ফেরার সম্ভাবনা প্রবল
দীর্ঘ ২৭ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসে ফিরতে পারে পুরুষদের ক্রিকেট। এখনও পর্যন্ত যা স্থিতি তাতে সব কিছু যদি পরিকল্পনা মাফিক চলে তা হলে ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমসেই ফিরতে পারে পুরুষদের ক্রিকেট। চলতি বছর বার্মিংহ্যামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কমনওয়েথ গেমস। ঠিক চার বছর পর অর্থাৎ ২০২৬ সালে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। ক্রিকেটের অন্যতম সফল দেশে টি-২০ ফরম্যাটের ক্রিকেট চালু হতে পারে এই কমনওয়েলথ গেমসে।
আইসিসি'র সঙ্গে এই বিষয়ে একাধিক বার বৈঠক হয়েছে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের এবং কথা ইতিবাচক দিকেই রয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে ২০২৬ সালে যদি ছেলেদের টি-২০ ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করা হয় তা হলে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দলগুলিকে অংশ নিতে হবে, এমন একটি শর্ত রাখা হয়েছে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন এই বিষয়ে কথা বলেছে ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দায়িত্বে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার সরকারের সঙ্গে। ভিক্টোরিয়ার সরকারের অ্যাডভাইজাররা ক্রিকেটের থেকে ফুটবলকেই বেশি লাভদায়ক মনে করছেন। তাঁরা মনে করছেন ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্তি করলেও সই সময়ে সেরা ক্রিকেটার বা শীর্ষ স্থানীয় দেশ অংশ নেওয়ার বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ করে আইপিএল-এর মরসুম তখন শুরু হবে হবে। সেক্ষেত্রে সেরা ক্রিকেটারের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। বরং সেই ক্ষেত্রে অলিম্পিকের আদলে ফুটবলকে ঢোকানো যায় তা হলে সেটা বেশি লাভ দায়ক হবে। অলিম্পিকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল অংশগ্রহণ করে এবং সিনিয়র ফুটবলারদের মধ্যে তিন জন খেলাতে পারে প্রতিটা দেশ। পা
১৯৯৮ সালে কুয়ালালামপুরে আয়োজিত কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখানে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ সহ মোট ১৬টি দল অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, কানাডা, মালয়েশিয়া, স্কটল্যান্ড ছিল অংশগ্রহণকারী দলগুলির মধ্যে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে কেবল ইংল্যান্ড ছিল অনুপস্থিত। ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই বছর রূপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় স্থান অর্জন করে ব্রোঞ্জ জেতে নিউজিল্যান্ড।
সচিন তেন্ডুলকর, স্টিভ ওয়া, অনিল কুম্বলে, স্টিফেন ফ্লেমিং, শন পোলকের মতো বাইশ গজের তারকারা ওই বার কমনওয়েথ গেমসে ক্রিকেটে নিজ নিজ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই আর কখনও কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষদের ক্রিকেট আয়োজিত হয়নি।