তৃণমূল আর পুলিশ একসঙ্গে, প্রমাণ বিজেপির হাতে! ব্যাখ্যা দিল তৃণমূল
তৃণমূল আর পুলিশ একসঙ্গে, প্রমাণ বিজেপির হাতে! ব্যাখ্যা দিল তৃণমূল
বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্যে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হরিহর আত্মা সম্পর্ক। ফলে এই পুলিশ দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়। তাই বিধানসভা নির্বাচন হবে দিল্লির পুলিশ দিয়ে জানিয়েছেন বিজেপি। এই হরিহর আত্মা সম্পর্কের প্রমাণ এখন বিজেপির হাতে। যা নিয়ে তারা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না।
যেখানেই অনুব্রত মণ্ডল সেখানেই বিতর্ক
যেখানেই অনুব্রত মণ্ডল সেখানেই বিতর্ক। কোথাও দলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া, তো কোথাও বিরোধীদের আক্রমণ, সবেতেই বিতর্ক। যেখানে তৃণমূল ভোট পায় না, সেখানে কাজ বন্ধের বিতর্কিত নির্দেশ দিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছএন অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়াও ভোটের আগে বিরোধীদের জন্য ছদ্মনামে দাওয়াইয়ের ঘোষণা করেও বিতর্কে জড়িয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
খারারের প্যাকেট নিয়ে বিশৃঙ্খলা
নানুরে কর্মীসভায় সেই অর্থে নির্দেশ দিতে দেখা যায়নি অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু বিতর্ক ছড়ায় কর্মীদের জন্য খাবারের প্যাকেট বিলির সময়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূল কর্মীদের জন্য সেখানে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু যে সংখ্যায় তৃণমূল কর্মী এসেছিলেন, সেই সংখ্যায় খাবারের প্যাকেট ছিল না। ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। খাবারের প্যাকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। যা নিয়ে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরীর সঙ্গে বচসা করতেও দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে খাবারের প্যাকেট নিতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের।
তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে একই টেবিলে পুলিশ
অনুব্রত মণ্ডলের সভায় স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি পড়েছিল বহু পুলিশকর্মীদের। তাঁদেরকে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে একই টেবিলে বসে খেতে দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, পুলিশের প্রধান কাজ হল নিরাপত্তা দেওয়া। তারা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে পারে না। তবে দুপুরে খাওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু না থাকলেও তাঁদের উচিত হয়নি কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে বলে খাওয়া।
বিজেপির কটাক্ষ
বীরভূম বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনার কটাক্ষ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বীরভূম পুলিশ আর তৃণমূল একই। দিনের পর দিন এই অবস্থা চলছে। আরও একবার প্রমাণ পেলেন তাঁরা। ভিতরে ভিতরে পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করলেও এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে মানায় না বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতির কথায়, পুলিশ এখন তৃণমূলের ঘরের লোক। কর্মিসভায় খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।
পাল্টা জবাব তৃণমূলের
তবে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। তারা বলছে ডিউটি দিতে গিয়ে খিদে পেলে তারা কি খাবে না? বিজেপি অমানবিক বলেই এই বলছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোটের সময় খৈনি টিপবে বাংলার পুলিশ
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এবারের ভোটে থাকবে দিল্লির পুলিশ। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট কেন্দ্রের সামনে ঘেঁষতে পারবে না রাজ্যের পুলিশ। তাঁরা ভোট কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার দূরে খৈনি টিপবেন।
লাদাখ সংঘাতের আবহে সাগর জলে চিনকে ঠান্ডা করতে ভারতের পাশে ফিলিপিন্স! নয়া কূটনৈতিক দিগন্ত