অনুব্রতর কাছে দুই প্রার্থীর বদল চেয়ে দরবার, ভোটের মুখে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস
অনুব্রতর কাছে দুই প্রার্থীর বদল চেয়ে দরবার, ভোটের মুখে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস
একুশের নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। কেউ দলত্যাগ করেছেন, কেউ দলের মধ্যে থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন। অনুব্রত-গড় বীরভূমেও দেখা গেল একই ছবি। ১১টির মধ্যে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের দরবার করা হল অনুব্রতর কাছে।
দুটি কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশ ক্ষুব্ধ
বীরভূমে মোট ১১টি বিধানসভা আসন। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ১১টির মধ্যে ব্যতিক্রমী হল দুটি কেন্দ্র। নলহাটি ও দুবরাজপুর। এই দুটি কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশ ক্ষুব্ধ। প্রকাশ্যেই তৃণমূলের একাংশ বিরোধিতা শুরু করেছে দলের তরফে ঘোষিত প্রার্থীর।
নতুন প্রার্থীকে মানতে নারাজ তৃণমূলের একাংশ
২০১৬-র নির্বাচনে দুবরাজপুরে প্রার্থী ছিলেন নরেশচন্দ্র বাউরি। তাঁর জায়গায় এবার প্রার্থী হয়েছেন অস্মিতা ধীবর। আর নলহাটিতে এবার মইনুদ্দিন সামসের পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছে রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহকে। এরই মধ্যে দল ছেড়েছেন সামস। আর নরেশ বাউড়ির সমর্থকরা নতুন প্রার্থীকে মানতে নারাজ।
প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল
এই দুই প্রার্থীকে বদল করার আর্জি জানিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে দরবার শুরু করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এর ফলে প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডল এই মর্মে কী অবস্থান নেন সেদিকেই তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকরা। সব মিলিয়ে একুশের ভোটের আগে অস্বস্তিতে তৃণমূল।
প্রার্থীদের হয়ে দেওয়াল লিখনেও বের হচ্ছেন না কর্মীরা
তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়েছে, প্রার্থীদের হয়ে দেওয়াল লিখনেও বের হচ্ছেন না কর্মীরা। দলের ভিতরে এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। দুবরাজপুরের নতুন প্রার্থীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সভাও করেছেন। কিন্তু দলীয় কর্মীদের একাংশ তা মানতে চাইছেন না। দল চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে, জানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
এবার বাংলা জয় নিশ্চিত, মোদীর বার্তা, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে একুশের ভোটের আঁচ