মমতার 'সব সুবিধা'র রাজ্যে নেই জব কার্ড, তপশিলি জাতি সার্টিফিকেট! অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ, মানতে নারাজ প্রশাসন
মমতার 'সব সুবিধা'র রাজ্যে নেই জব কার্ড, তপশিলি জাতি সার্টিফিকেট! অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ, মানতে নারাজ প্রশাসন
রাজ্যে জন্ম থেকে মৃত্যু সব জায়গাতেই সরকারি সুবিধা রয়েছে। তাই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সব সুবিধার রাজ্যেই অনাহারে (starvation) মৃত্যুর (death) অভিযোগ। যদিও মানতে নারাজ প্রশাসনের পাল্টা যুক্তি খাঁড়া করেছে। পাশাপাশি নেই-এর তালিকাকে আছে করতে প্রশাসনের তরফে ১৫ দিন সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
জঙ্গলমহলে অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ
বাম
আমলে
যে
জঙ্গলমহলে
অনাহারে
মৃত্যুর
অভিযোগ
উঠেছিল,
সেই
জঙ্গলমহল
হাসছে।
এমনটাই
দাবি
করে
থাকেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু
প্রদীপের
তলাতেই
অন্ধকার।
গত
৩
অগাস্ট
সকালে
পুকুর
থেকে
বাড়িতে
ফেরার
পথে
প্রতিবেশীর
বাড়ির
সামনে
অজ্ঞান
হয়ে
যান
ঝাড়গ্রামের
ভুলাভেদার
সঞ্জয়
সর্দার।
হাসপাতালে
নিয়ে
যাওয়া
হলে
তাঁকে
মৃত
বলে
ঘোষণা
করা
হয়।
হাসপাতালের
মেডিক্যাল
অফিসার
এই
মৃত্যুর
কারণ
সম্পর্কে
কিছু
না
জানালেও
পরিবারকে
বলা
হয়
ময়নাতদন্তের
রিপোর্টের
জন্য
অপেক্ষা
করতে।
লকডাউনের পরে ছিল না নির্দিষ্ট কাজ
এই
খবর
পাওয়ার
পরে
গত
৯
অগাস্ট
সেই
গ্রামে
যায়
পশ্চিমবঙ্গ
খাদ্য
ও
কাজের
অধিকার
অভিযান।
সেই
দলের
এক
সদস্য
দীপ্যমান
অধিকারী
জানিয়েছেন,
মৃত
সঞ্জয়
সর্দারের
পরিবারের
বাকি
তিন
সদস্য
স্ত্রী
সরস্বতী
সর্দার
(২৭)
এবং
দুই
সন্তান
গীতা
(৯)
ওসনু
(৬)
দীর্ঘদিন
ধরেই
রয়েছেন
খাদ্য
সংকটে।
লকডাউনের
সময়
তা
আরও
বাড়ে।
পরিযায়ী
শ্রমিক
সঞ্জয়
সর্দার
২০২০-র
মার্চে
বাড়ি
ফিরে
আসার
পর
থেকে
নির্দিষ্ট
কোনও
কাজ
পাননি।
যা
পেয়েছিলেন,
তা
ছিল
অনিয়মিত
এবং
কম
বেতনের।
দীপ্যমান
অধিকারী
জানিয়েছেন,
২০২২-এর
জুনে
সঞ্জয়
টিবি
আক্রান্ত
হওয়ার
পরে
পরিবারের
রোজগার
একেবারেই
বন্ধ
হয়ে
যায়।
তাঁরা
রেশন
দোকানে
গিয়েছিলেন,
তাঁদের
যে
কার্ড
রয়েছে,
তা
আধারের
সঙ্গে
লিঙ্ক
না
থাকায়
রেশন
পাননি।
পরিবারের
অভিযোগ
রেশন
দোকানথেকেও
এব্যাপারে
সাহায্য
করা
হয়নি।
প্রশাসনের তরফে অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার
পশ্চিমবঙ্গ
খাদ্য
ও
কাজের
অধিকার
অভিযান-এর
তরফে
দীপ্যমান
অধিকারী
জানিয়েছেন,
তাঁরা
বিনপুরের
বিডিও
বরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং
ঝাড়গ্রামের
জেলাশাসক
সুনীল
আগরওয়ালের
সঙ্গে
এই
ঘটনা
নিয়ে
কথা
বলেছিলেন।
তবে
প্রশাসনের
তরফে
তাদেরযুক্তি
দিয়ে
অনাহারে
মৃত্যুর
অভিযোগ
অস্বীকার
করা
হয়েছে।
প্রশাসনের
তরফে
বারে
বারে
দাবি
করা
হয়েছে
সঞ্জয়
সর্দারের
মৃত্যু
হয়েছে
মদ্যপান
ও
টিবি
রোগের
কারণে।
এই
দাবি
প্রতিষ্ঠা
করতে
সঞ্জয়
সর্দারের
পরিবারের
সঙ্গে
প্রশাসনের
তরফে
বাড়িতে
রেশন
ডিলারকে
বাড়িতে
পাঠিয়ে
হুমকি
দেওয়া
হয়
বলে
অভিযোগ।
পাশাপাশি
কাগজে
সই
করতে
বলা
হয়,
যেখানে
বলা
হয়েছিল
সঞ্জয়
অনাহারে
নয়
টিবিতে
মারা
গিয়েছেন।পরবর্তী
সময়ে
বাড়িতে
যায়
ডিস্ট্রিক্ট
কন্ট্রোলার
ফুড
অ্যান্ড
সাপ্লায়ার
এবং
স্টেট
কন্ট্রোলার
ফুড
অ্যান্ড
সাপ্লায়ারের
আধিকারিকরা।
তাঁরা
প্রতিবেদনে
জানান
পরিবারের
কাছে
থাকা
RKSYII
কার্ড
RKSYI-এ
রূপান্তরিত
হয়ে
গিয়েছিল।
পরিবারের
সদস্যরা
যেহেতু
কাজের
জন্যবিভিন্ন
জায়গায়
ঘুরে
বেড়াত
তাই
রেশন
কার্ড
সংক্রান্ত
নিয়মাবলী
তাঁরা
পালন
করতে
পারেননি।
পাশাপাশি
তারা
জানান
সঞ্জয়
নিয়মিত
মদ
খেতেন
এবং
নিয়মিত
ডিবিটি
(ডিরেক্ট
বেনিফিট
ট্রান্সফার)
গ্রহণ
করেছিলেন।
নেই-এর তালিকায় অনেক কিছু
পরিবারটির
নেইয়ের
তালিকায়
রয়েছে
অনেক
কিছু।
যেখানে
পরিবারটির
রেশন
কার্ড
হওয়ার
কথা
AAY,
সেখানে
কীভাবে
তাঁদের
কার্ড
RKSYII
হয়,
সেই
প্রশ্ন
উঠেছে।
পরিবারের
কারও
হাতে
নেই
জব
কার্ড।
নেই
এসসি
সার্টিফিকেটও।
আর
যে
জঙ্গলমহল
প্যাকেজ
নিয়ে
মুখ্যমন্ত্রীমমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
সাফল্যের
দাবি
করেন,
সেই
প্যাকেজ
জঙ্গলমহলে
সঞ্জয়
সর্দারের
মতো
প্রান্তিক
পরিবারগুলির
হাতে
পৌঁছয়নি।
এছাড়াও
এই
পরিবারটি
কেন্দ্রীয়
সরকারের
গরিব
কল্যাণ
অন্ন
যোজনার
সুবিধা
থেকে
বঞ্চিত।
সঞ্জয়ের
স্ত্রীর
এসসি
সার্টিফিকেট
না
থাকায়
লক্ষ্মীর
ভাণ্ডার
প্রকল্পে
১০০০
টাকার
জায়গায়
পান
৫০০
টাকা
করে।
টিবি
আক্রান্ত
হওয়ার
পরে
কেন্দ্রীয়
সরকারের
প্রকল্প
থেকে
টাকা
পেলেও
ওষুধের
সঙ্গে
যে
পুষ্টিকর
খাবারের
প্রয়োজন
ছিল
তা
যোগার
করে
উঠতে
পারেননি
পরিবারেরও
কেউই।
তবে প্রশাসনের তরফে এই মৃত্যুর ঘটনার পরে পরিবারটির জন্য চাল-ডালের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ দিনের মধ্যে সব সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস নয়! হিমাচল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন আনন্দ শর্মা