মমতার যাত্রা ভঙ্গ করতে বিজেপির পরিকল্পনা তৈরি! ২১-এর লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ দিলীপের
বিজেপি (bjp) নয়, রাজ্যে জয় শ্রীরামের প্রচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এদিন বীরভূমের তারাপীঠে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। কটাক্ষ করে তিনি বলে
বিজেপি (bjp) নয়, রাজ্যে জয় শ্রীরামের প্রচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এদিন বীরভূমের তারাপীঠে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, যারা রামকে ভয় করে, তাঁদের মনে ভয় রয়েছে।
মুকুল, কৈলাশের উপস্থিতিতে স্ট্র্যাটেজি 'বদল' বিজেপির! ২১-এর আগে নয়া পরিকল্পনা
জয় শ্রীরামের প্রচার করছেন মমতাই
এদিন তারাপীঠে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি যেসব স্লোগান দেয় তার মধ্যে রয়েছে ভারত মাতা কী জয়ও। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, হিন্দু দেবদেবীকে অসম্মান করা হচ্ছে, তাই মানুষের মনে ভয় হচ্ছে এটা আবার না পাকিস্তান হয়ে যায়। তাই পরিচিতি হিসেবেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। সেটা সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেছেন। এতে বিজেপির কোনও দায় নেই বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন থেকে জয় শ্রীরামের বিরোধিতা করতে শুরু করেন, সেদিন থেকে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে যাবেন, তাঁকে জয় শ্রীরাম বলে স্বাগত জানানো হবে। যত বেশি বিরোধিতা করবেন, তত বেশি করে জয় শ্রীরাম বলা হবে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জয় শ্রীরামের প্রচার করে দিচ্ছেন। শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পরেই জয় শ্রীরাম স্লোগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘটনাকে তিনি সমর্থন করছেন। এবার থেকে তিনিও তাই করবেন।
রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকে
বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকা মন্তব্য উল্লেখ করে দিলীপ ঘোষ বলেন রাস্তায় বোম, তরোয়াল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সেই উন্নয়ন থেকে মানুষকে বের করে আনতে হবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন রাজ্যে উন্নয়ন হয়েছে। তা একমাত্র তৃণমূলের অফিস দেখলে বোঝা যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সেখানে, এসি, সোফা সব রয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের বাড়ি দেখলে বোঝা যায়, উন্নয়ন হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যদি পাকা রাস্তা কোথাও হয়েছে, তা হয়েছে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে দিয়ে। তিনি বলেন, কাজ কিংবা চাকরির জন্য সাধারণ মানুষকে বাইরের রাজ্যে যেতে হচ্ছে।
তারাপীঠের মন্দিরে যজ্ঞ
এদিন দিলীপ ঘোষ তারাপীঠের মন্দিরে যজ্ঞে অংশ নেন। তিনি সাতটি যজ্ঞ করেন। পরে তিনি বলেন, বাংলায় শান্তি এবং সমৃদ্ধি আসুক। সবাই যেন শান্তিতে আর সুখে থাকতে পারে সেই প্রার্থনাই তিনি তারা মায়ের কাছে করেছেন। তিনি আরও বলেন, হিংসা দূর হোক, বাংলা উন্নতি হোক। বাংলার মানুষ যেন বাংলা ছেড়ে না যায়।
বিজেপির ২০০ পার করবে
অনুব্রত মণ্ডল একই জায়গায় এসে বলেছিলেন, তাঁরা দুশো দশ থেকে ২৩০ টি আসন পাবেন। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, মায়ের কাছে সবারই চাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, মা জানেন, কাকে কী দেবেন। তাই মায়ের ওপরেই ভরসা করা উচিত। তিনি বলেন, বিজেপির ২০০-র বেশি আসন পাবে। এদিন অনেকে তাঁর সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
গণতন্ত্র ফেরাতে লড়াই করছে বিজেপি কর্মীরা
এদিন তারাপীঠে চায়ে পে চর্চায় অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির কর্মীরা রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে লড়াই করছেন। এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত বিজেপির ১৩৫ জন বলিদান দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। তালিকায় রয়েছেন লালমাটির বীরভূমের বেশ কয়েকজন যুবকও। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার নেই, ভোটে লড়াই করার অধিকার নেই। অভিযোগ করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে ভোট হয় না। ভোট হলে মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হয় না। মনোনয়ন দাখিল করতে প্রচার করতে দেওয়া হয় না। প্রচার করলে ভোট দিতে দেওয়া হয় না। তারপরেও বিরোধী কেউ ভোটে জিতলে তাঁকে গ্রামে থাকতে দেওয়া হয় না। তাই বিজেপির প্রথম অঙ্গীকার পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানো হবে।