আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতা দখলে রাখার চেষ্টা মমতার! রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত কৈলাশের
এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। এমনটাই দাবি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ( kailash vijayvarghiya) । এদিন তিনি ছিলেন শান্তিনিকেতনে। হালিশহরে বিজেপির (bjp) বুথ সভাপতির ওপর হামলা নিয়ে তাঁ
এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। এমনটাই দাবি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ( kailash vijayvarghiya) । এদিন তিনি ছিলেন শান্তিনিকেতনে। হালিশহরে বিজেপির (bjp) বুথ সভাপতির ওপর হামলা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা আবেদন করবেন, যাতে এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force) মোতায়েন করা যায়।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতির আরও উন্নতি! বাড়ি ফিরতে চাইছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
বাংলায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন মমতা
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এদিন অভিযোগ করেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তিনি আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বাংলায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন বলেও অভিযোগ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার। তিনি বলেন, বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে যতটা অবগত, সেখানে আতঙ্ক বা ভয় বেমানান।
এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হবে। এছাড়াও আতঙ্ক ও হিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে এখন থেকেই বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্ররোচনা দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা, পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের
যদিও তৃণমূলের তরফে পাল্টা রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ বিজেপি নেতারা জায়গায় জায়গায় ঘুরে প্ররোচনা দিচ্ছেন। তারা আরও বলেছে দুয়ারে সরকারের পাশাপাশি এরই অন্তর্ভুক্ত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। যেই কাজ মসৃণভাবে চলুক তা চাইছে না বিজেপি। সেই কারণেই তাঁরা অশান্তি তৈরি করছেন। উন্নয়নের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, আম্ফান এবং লকডাউনের সময়ে ত্রাণশিবিরে বিজেপির কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এখন ক্ষমতার জন্য লাফালাফি করছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার পরে শনিবার সন্ধেয় যখন হালিশহরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আর নয় অন্যায় কর্মসূচির প্রচার করছিল বিজেপি, সেই সময় বাইক বাহিনী বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপরে হামলা চালায়। যার জেরে এক বিজেপি বুথ সভাপতির সৈকত ভাওয়ালের মৃত্যু হয়। এই হামলায় একাধিক বিজেপি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এব্যাপারে তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।
বাহিনীকে নিরপক্ষে ভাবে কাজ করতে হবে, দাবি সিপিএম-এর
বিজেপি এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছেন। এব্যাপারে আপত্তি নেই সিপিএম-এর। তবে তাদের দাবি, নিরপেক্ষভাবে এই বাহিনীকে কাজ করতে হবে। সিপিএম-এর তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য যাতে সংবিধান মেনে চলে তার জন্য কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের বাহিনী মমতার কথা শুনবে আর কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজয়বর্গীয়দের কথা শুনবে, তা চলতে পারে না বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সিপিএম-এর তরফে।