করোনার জেরে থাইল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে কম সংখ্যক দুর্গার প্রতিমা
করোনার জেরে থাইল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে কম সংখ্যক দুর্গার প্রতিমা
করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর জেরবার মানুষ। তারা আঁচ পড়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতেও। কুমোরটুলির পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা থেকে প্রত্যেক বছরই দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দেয় বিদেশে। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম নয় কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতি জেরে মন্দা পুজো বাজারে। প্রতিমার কেনাকাটার ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে ভাটা। খুব কম সংখ্যক প্রতিমা যাচ্ছে বিদেশে।
মাথায় হাত প্রতিমা শিল্পীদের
কোথাও কোথাও শিল্পী বিদেশে প্রতিমা তৈরীর বরাত পেতেন কিন্তু এবার তাও নেই। তাই বলা যায় একপ্রকার মাথায় হাত প্রতিমা শিল্পীদের। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার পৃথিবা পঞ্চায়েতের জিওলডাঙ্গা গ্রামের প্রতিমা শিল্পী পরিমল পাল, প্রত্যেক বছর থাইল্যান্ডে গিয়ে প্রতিমা বানান। কিন্তু করোনার জেরে এবছর আর বিদেশ যাওয়া হয়নি।
বাড়িতে বসেই পাঁচ ফুট উচ্চতার মাটির মা দূর্গা তৈরি
তাই অগত্যা বাড়িতে বসেই পাঁচ ফুট উচ্চতার মাটির মা দূর্গা তৈরি করেছেন তিনি। সময় লেগেছে প্রায় ১৫ দিন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার পাড়ি দেবে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে। থাইল্যান্ডের বিষ্ণু মন্দিরে প্রতিমা যাচ্ছে।
মন খারাপ
কিন্তু
তা
সত্ত্বেও
কিছুটা
হলেও
শিল্পীর
মন
খারাপ,
পুজো
উদ্যোক্তাদের
বাজেট
কম
এবং
সংখ্যায়
তুলনামূলক
কম
প্রতিমা
হচ্ছে
এবার
এবছর
থাইল্যান্ডের
যেতে
না
পারার
জন্য।
শেষ
মুহূর্তের
কাজ
চলছে
জোড়
কদমে।
শিল্পীর
সাথে
সহযোগিতা
করছে
তার
ছেলে
এবং
ভাগ্নে।
থাইল্যান্ডের বিক্রি হচ্ছে এই রকম প্রতিমা
প্রায় ৫০ হাজার টাকার দামের থাইল্যান্ডের বিক্রি হচ্ছে এই রকম প্রতিমা। এই রাজ্যে এই প্রতিমা তৈরি করলে এই টাকা আয় হয় না জানালেন শিল্পী নিজে।
বিচুলি ও শাড়ি দিয়ে মূর্তি
মূর্তিটি সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে মাটি বিচুলি ও শাড়ি দিয়ে। ওজন হয়েছে ১৫০ কেজি। দমদম বিমানবন্দরের কার্গোর মাধ্যমে এই প্রতিমা যাচ্ছে থাইল্যান্ডে।
ভারতের একমাত্র এই রাজ্যে এখনও করোনায় প্রাণ যায়নি একজনেরও