সোমবার শ্যুটআউটের পরে মঙ্গলবার বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু! দীপাবলিতে মর্মান্তিক ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ভাটপাড়ায়
কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে একটি শিশু। অপর একটি শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে নৈহাটির জিআরপি-আরপিএফ এবং ভাটপাড়া থানার পুল
কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে একটি শিশুর। নাম নিখিল পাসোয়ান(৭)। অপর একটি শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে নৈহাটির জিআরপি-আরপিএফ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ।
সকালে বিস্ফোরণে মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর লাইনের পাশে বিস্ফোরণটি ঘটে। কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে ভাটপাড়ার ২৮ নম্বর রেলগেটের কাছে বোমা মজুত করে রাখা ছিল বলে অভিযোগ। চারটি শিশু সেগুলিকেই বল ভেবে খেলতে শুরু করে। বল ভেবে বোমা হাতে নিতেই বিস্ফোরণটি হয়। সেই সময় বিস্ফোরণে সাতবছরের নিখিল পাসোয়ানের মৃত্যু হয়। অপর একটি শিশু গুরুতর আহত হয়। তাঁকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আরও দুই শিশু অল্পবিস্তর জখম হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে নৈহাটির জিআরপি, আরপিএফ এবং ভাটপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মজুত বোমা নিয়ে তদন্ত শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকে আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।
সোমবার ভাটপাড়ায় শ্যুটআউট
সোমবার এই ভাটপাড়াতেই শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাগ্নে তথা তৃণমূল কর্মী রাজ পাণ্ডে গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে তিনসুতিয়া লাইনের কালীপুজোর মণ্ডপে বসেছিলেন তৃণমূল কর্মী রাজ পাণ্ডে। রাত দেড়টা নাগাদ বাইকে করে তিনজন এসে তাঁর ওপরে গুলিু চালায়। হাতে গুলি লাগে রাজে। তাঁকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাটপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা রাজ পাণ্ডের মামা মনোজ পাণ্ডে জানিয়েছেন, এর পিছনে রয়েচে দলবদলকারীরা। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
উস্কে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বৃদ্ধির জেরেই এই ঘটনা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান কালীপুজোর রাতে দুষ্কৃতীরা রেললাইনের ধারে ওই বোমা রেখে যায়। তবে কী জন্য বোমা রেখে যায় দুষ্কৃতীরা তা নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ। বহু মানুষের যাতায়াতের রাস্তার পাশে বোমা মজুতের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পরপর দুদিনের ঘটনায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিতরাং-এর ধাক্কায় তাপমাত্রা নামল ২ থেকে ৭ ডিগ্রি! বাংলায় কি শীতের আগমন, কী বলছে আবহাওয়া দফতর