শীত মানেই জয়নগরের মোয়া! জানুন এই সুস্বাদু রসনার ইতিহাস
শীত মানেই জয়নগরের মোয়া! জানুন এই সুস্বাদু রসনার ইতিহাস
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে শীত আর বাদ যায় কেন! শীতের আমেজও চেটেপুটে উপভোগ করতে চায় রসিক বাঙালি। শীতকালের বাঙালি প্রিয় হচ্ছে নলেন গুর আর মোয়া। প্রায় ১০০ বছর ধরে তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে জয়নগরের মোয়া।
শীতকালে মোয়া পেটে না পড়ে বাঙালীর, যেন একটা শীতের মধ্যে কিছু একটা বাদ যাচ্ছে তেমনি। জনশ্রুতি অনুসারে জয়নগরের মোয়া আবিষ্কার হল জয়নগর শহরের নিকটবর্তী বহরু গ্রামে।
জনৈক যামিনী বুড়ো একটি অনুষ্ঠানে তিনি নিজের খেতে উৎপাদিত কনকচূড় ধানের খই ও নলেন গুড় দিয়ে মোয়া প্রস্তুত করে পরিবেশন করে। জয়নগর শহরে জনপ্রিয় হয় জয়নগরের মোয়া প্রস্তুতকারকরে। তখন এই ব্যবসা মহানগর-সহ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তখন থেকে ব্যবসায়ীরা ভিত্তিতে তৈরি করতে থাকে ১৯২৯সালে পূর্ণ চন্দ্র ঘোষ এবং নিত্য গোপাল সরকার এবং জয়নগরের বহুরু তাদের তৈরি কারখানা স্থাপন করেন নগরীর প্রধান উৎপাদনের গড় ও কাজুবাদাম কিসমিস পোস্ত ব্যবহার করা হয়।
দক্ষিণ জেলা কাকদ্বীপ, নামখানা ডায়মন্ড হারবার, গঙ্গাসাগর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কনকচূড় ধানের চাষ হয়। সেই ধানের খই মোয়া কাজে ব্যবহৃত করা হয়। আর শীতকালে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা সবচেয়ে বেশি রসপাওয়া যায় কৃষ্ণনগর, নদীয়া, সুন্দরবনের বেশিরভাগ খেজুর গাছকে এই রসের জন্য ব্যবহৃত করা হয়। অর্থাৎ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে রাখা হয় তার রস জাল দিয়ে তৈরি হয় গুড়। সেই গুড় খই সাথে মিশানো হয়। তার সঙ্গে প্রসিদ্ধ গাওয়া খাঁটি ঘি কাজু ,কিসমিস ব্যবহৃত হয়।
বহুরু অতি প্রাচীন মোয়ার দোকান বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভান্ডার। বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভান্ডার এর অধিকর্তা মহাদেব দাস ও গনেশ দাস বলেন আমাদের এই মোড়ের দোকান ১৪০ বছরের পুরাতন মিষ্টান্ন দোকান। দেশ-বিদেশে আমাদের বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভান্ডারে মোয়া সাড়া জাগিয়েছে। করোনার জন্য আগের তুলনায় অনেক খানি মোয়ার চাহিদা কমেছে মায়ের দাম একই আছে কোন বাড়ানো হয়নি। ভালো মোয়ার দাম ২৩০ -২৪০ টাকা কেজি। এবং একটু নর্মাল মোয়ারদাম ১২০-১৩০টাকা। কি তাদের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভান্ডার অধিকর্তারা।
জিতেন্দ্রকে চাইছে না বিজেপি? শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা