মমতার হাত ধরে তৃণমূলে সায়নী, মনোজ সহ একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী
মমতার ধরে বিজেপিতে সায়নী, মনোজ সহ একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী
বিধানসভা ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হুগলিতে তৃণমূল নেত্রীর হাত ধরে শাসকদলে যোগ দিলেন সায়নী ঘোষ। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলে নাম লেখালেন একঝাঁক টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী। সেই তালিকায় রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, অন্যান্য চক্রবর্তী, জুন মালিয়া সহ রয়েছেন আরও অনেকে।
একই দিকে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে দিদিকে ধন্যবাদ জানালেন সায়নী
এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলের পতাকা নেন সায়নী ঘোষ। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রাজ চক্রবর্তী, মানালি দে, পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, অনন্যা চক্রবর্তী একাধিক তারকা। তৃণমূলে নাম লিখিয়ে তারকাদের মুখে এদিন শোনা যায় খেলা হবে স্লোগান। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দেন অভিনেতারা। বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আগামীদিনেও থাকব। অন্যদিকে সায়নী ঘোষ বিজেপিকে একহাত নেন। বলেন, "দিদিকে ধন্যবাদ এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। আগামীদিনে বাংলার মা-বোনেদের মর্যাদা, সম্মান দেখে রাখব। বাংলার সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আমরা এগিয়ে যাব। শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখব। আমাদের বাংলার মাটি ভোটের আগে কারও পাখির চোখ হয়ে উঠতে পারে না।"
সায়নীর পাশে দাঁড়িয়ে ফের একবার বিজেপিকে আক্রমণ মমতার
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখান একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী। নাম লেখান মনোজ তিওয়ারি, সৌমিক দেম রহিম নবীর মতো খেলোয়ারারাও। তৃণমূলে নাম তুলেই এদিন সবাই মঞ্চ থেকেই খেলা হবে স্লোগান দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরে সেই স্লোগানের রেশ টেনে বলেন, খেলা হবে মাঠে। আর আমি গোলরক্ষকের ভূমিকাতে থাকব। একই সঙ্গে ফের একবার আজ বুধবার সায়নীর পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সগে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, একটা ছোট্ট মেয়ে টুইটারে কি পোস্ট করেছে তাতে একেবারে হই হই কান্ড! যে পাচ্ছে অপমান করছে। মা বোনেদের বিজেপি অপমান করতে ছাড়ে না বলেই মন্তব্য নেত্রীর।
তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন সায়নী! ছিল জল্পনা
বেশ কিছুদিন ধরেই সায়নী ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ার রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার মুখ খুলে রীতিমত খুনের হুমকি পর্যন্ত অভিনেত্রীকে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও দমেননি সায়নী। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে যেভাবে একের পর এক তির তিনি ছুঁড়ছিলেন তাতে তাঁর শাসক শিবিরে যোগ দেওয়াটা সময়ের অপেক্ষা ছিল বলেই মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। এমনকি একাধিক সভা থেকে সায়নীর পাশে দাঁড়িয়েও ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার হুগলির সভা থেকে সেই অপেক্ষার অবসান হল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুল চিহ্ন তুলে নিলেন সায়নী। সূত্রের খবর, ভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ হতে পারেন সায়নী।