আর ডি বর্মনের প্রেমে কীভাবে পড়েছিলেন আশা! গায়িকার জন্মদিনে প্রেম জীবন ঘিরে কিছু তথ্য
এদিন ৮৫ তম জন্মদিন উদযাপন করছেন এদেশের অন্যতম সুরসম্রাজ্ঞী আশা ভোসলে।কয়েক দশক ধরে তাঁর কণ্ঠে মাতোয়ারা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। শুধু বলিউড নয়, বাংলা ছবিও তাঁর গানে সমৃদ্ধ ।
এদিন ৮৫ তম জন্মদিন উদযাপন করছেন এদেশের অন্যতম সুরসম্রাজ্ঞী আশা ভোসলে। কয়েক দশক ধরে তাঁর কণ্ঠে মাতোয়ারা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। শুধু বলিউড নয়, বাংলা ছবিও তাঁর গানে সমৃদ্ধ ।
১৯৪৩ -এ প্রথমবার প্লেব্যাক দিয়ে শুরু হয় তাঁর কেরিয়ার। পরবর্তীকালে বিভিন্ন চরাই উতরাই তাঁর জীবনতে তথা কেরিয়ারে প্রভাব ফেলে। কিন্তু সমস্ত বাধা টপকে আজও নিজের মসনদে সসম্মানে অধিষ্ঠাত্রী আর ডি বর্মনের প্রাক্তন স্ত্রী আশা। কেমন ছিল আশার প্রেম জীবন?কীভাবে দেখা হয়েছিল আর ডির সঙ্গে আশার? দেখে নেওয়া যাক।
প্রথম প্রেম
আশা ভোসলে তখন কিশোরী। ততদিনে গানের জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করেন দিদি লতা মঙ্গেশকর। লতা ততদিনে চরম খ্যাতির দিকে এগিয়ে চলেছেন,লতার বিভিন্ন অ্যাপয়েন্টমেন্টের দায়িত্ব ততদিনে সামলাতে থাকেন লতার সেক্রেটারি গণপত ভোসলে। আর এই গণপত ভোসলের প্রেমেই পড়ে যান লতার বোন আশা।
প্রেম ঘিরে বিবাদ
গণপত ভোসলের সঙ্গে আশার প্রেম ঘিরে রীতিমত বিবাদ দেখা দেয় মঙ্গেশকর পরিবারে। আশার বয়স তখন ১৬ , আর গণপতের ৩১ বছর বয়স। এই সম্পর্কে মেনে নিতে পারেনি মঙ্গেশকররা। কিন্তু বাড়িক অমতেই আশা বিয়ে করেন গণপতকে।
বিচ্ছেদ
ক্রমেই সংসারী হয়ে উঠছিলেন আশা। ততদিনে তিনি ৩ সন্তানের মা। এদিকে, পুরনো বিবাদ ভুলে বোনকে কাছে টানতে শুরু করেন লতা। যা মেনে নিতে পারছিলেন না আসার স্বামী গণপত। অগত্যা বিচ্ছেদের পথে হাঁটে আশা-গণপতের দাম্পত্য।
আর ডির সঙ্গে সাক্ষাৎ
১৯৬০ সালে গণপত রাওয়ার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আশা নিজের কেরিয়ারে মনোনিবেশ করতে থাকেন। ততদিনে হিট হতে থাকে আশার গান। 'ওয়াক্ত', 'আদমি'. 'হামরাজ' ইত্যাদি ছবিতে তাঁর সঙ্গীতের জাদুতে বুঁদ হতে থাকেন শ্রোতারা। ভক্ত সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এমনই এক 'ভক্ত' আশার জীবনে সেই সময়ে আসেন, তিনি আর ডি বর্মন।
প্রেম এগোতে থাকে
সঙ্গীত পরিচলাক আর ডি বর্মন প্রথম থেকেই ছিলেন আশার ফ্যান। এদিকে, ১৯৬৬ সালে আর ডি বর্মন বিয়ে করেন রীতা প্যটেলকে। যদিও সেই সম্পর্কের বিচ্ছেদের রূপ নেয় ১৯৭১ সালে। এরপর থেকেই আশা-আর ডি ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। আশাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেন আর ডি।
আর ডি ও আশার প্রেমজীবন
আর ডি বর্মনের প্রেমেরক প্রস্তাবে আশা ভোসলে প্রথমে সেভাবে না এগোলেও, পরের দিকে প্রেমে পড়েই গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের বিয়ে হলেও তাঁদের সাংসারিক জীবন খুব একটা সুখের হয়নি. দু'জনে আলাদা থাকতে শুর করলেও, আরডির সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল আশার।