সুনন্দা পুস্কর–বুরারি গণআত্মহত্যার পর তৃতীয়বার মনস্তাত্ত্বিক ময়নাতদন্ত হবে সুশান্ত সিং কাণ্ডে
মনস্তাত্ত্বিক ময়নাতদন্ত হবে সুশান্ত সিং কাণ্ডে
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে সিবিআই এবার তাঁর মনস্তাত্ত্বিক ময়নাতদন্ত করবে বলে সোমবার গভীর রাতে সিবিআই সূত্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যুর সম্ভাব্যময় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে।
সুশান্তের জীবন খতিয়ে দেখা হবে
এই মনস্তাত্ত্বিক ময়নাতদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সিএফএসএল (সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি) খতিয়ে দেখবে সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনের খুঁটিনাটি, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অন্যদের সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন ধরনের কথোপকথন সবই খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও মৃত্যুর আগে অভিনেতার মেজাজের ভাব বদল, আচরণগত নির্দশন ও ব্যক্তিগত চিন্তার দিকটাও তদন্ত করা হবে। আসলে সিবিআই চাইছে অভিনেতার মানসিক অবস্থার পূর্ণ ও সমন্বয় চিত্র পেতে, যা তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
তৃতীয়বার হবে মনস্তাত্ত্বিক ময়নাতদন্ত
সূত্রের খবর, ৩৪ বছরের সুশান্ত সিং রাজপুতের মনস্তাত্ত্বিক ময়নাতদন্ত করা হবে, যাঁকে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই মনস্তাত্ত্বিক ময়নাতদন্ত পদ্ধতিটি এই নিয়ে কেবলমাত্র তৃতীয়বার ব্যবহার করা হবে। এর আগে এই তদন্ত পদ্ধতিটি সুনন্দা পুস্কর মৃত্যু মামলা ও ২০১৮ সালের দিল্লির বুরারি গণ-আত্মহত্যার মামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
সিবিআইকে সাহায্য করবে এইমস
এই তদন্তে সিবিআই এইমসের সাহায্য চাওয়ার পরই এইমসের চার সদস্যের ফরেন্সিক টিম রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই শুক্রবার বিশেষ সিবিআইয়ের দল মুম্বই পৌঁছে যায়। এই একই দল বিজয় মালিয়ার মামলাও তদন্ত করছে। রবিবার সুশান্ত সিং রাজপুতের রাঁধুনি এবং তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, যাঁরা এই মামলার মূল সাক্ষী, দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি আরেক কর্মচারী নিরজকে টানা ৩ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
সুশান্তের মৃত্যু ও প্রশ্ন অনেক
গত ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর মৃত্যু রহস্য নিয়ে সরব হয়েছে গোটা দেশ। বলিউডের স্বজন পোষণ, পক্ষপাতিত্ব সহ বহু অভিনেতা-পরিচালক ও প্রযোজককে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। তবে পাটনা পুলিশের কাছে সুশান্তের বাবা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করায় গোটা ঘটনার মোড় বদলে যায়। অন্যদিকে ইডিও অর্থ তছরূপের মামলা তদন্ত শুরু করে। রিয়া ও তাঁর পরিবারকে বারংবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।