এটিএম থেকে ছেঁড়া-ফাটা নোট বের হয়েছে? ব্যাঙ্কও নিতে অস্বীকার করছে! এক ক্লিকেই রইল সমাধান
এটিএম নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। টাকা তোলার জন্যে এখন যতটা সম্ভব ব্যাঙ্কে যাওয়া কমিয়েছেন গ্রাহকরা। অর্থাৎ অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নির্ভরতা অনেকটাই কমেছে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে। তবে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে যদি দেখে
এটিএম নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। টাকা তোলার জন্যে এখন যতটা সম্ভব ব্যাঙ্কে যাওয়া কমিয়েছেন গ্রাহকরা। অর্থাৎ অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নির্ভরতা অনেকটাই কমেছে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে।
তবে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে যদি দেখেন কোনও ভাবে মেশিন থেকে ছেঁড়া-ফাটা নোট পেয়েছেন তাহলে কি করবেন? একেবারে চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কিছু নেই।
তবে হঠাত টাকার প্রয়োজনের সময় যদি এমন নোট মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে তাহলে সত্যিই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় গ্রাহককে। কারণ ছেঁড়া নোট কেউ নিতে চায় না। দোকানদার থেকে শুরু করে কোনও জায়গাতেই চলে না ওই নোট। সেক্ষেত্রে একমাত্র জায়গা ব্যাঙ্ক।
তবে অনেক সময়ে ব্যাঙ্কও ছেঁড়া নোট নিতে অস্বীকার করে। তবে আপনার হাতে যদি এমন ছেঁড়া নোট থাকে তাহলে চিন্তার কিছু নেই। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। কীভাবে এই ছেঁড়া নোট ভালো নোট পাওয়া যাবে সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে।
তবে নিয়ম অনুযায়ী এটিএম থেকে বের হওয়া ছেঁড়া নোট সোজা ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া যায়। এমনকি কর্মরত কর্মীকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে ফাটা নোট পরিবর্তন করে দেওয়ার কথা জানাতেই পারেন। তবে ব্যাঙ্ক যদি তাঁদের এটিএম থেকে বের হওয়া ছেঁড়া ণোট না নিতে চায় তাহলে অবশ্যই অন্য ব্যবস্থা নিতেই পারেন।
ফর্ম ভরে বিস্তারিত জানাতে হবে
যদি এটিএম থেকে ছেঁড়া নোট বের হয় তাহলে ব্যাঙ্ক থেকে একটি ফর্ম চেয়ে নিন। সেখানে বিস্তারিত জানিয়ে ওই নোট বদলের কথা জানাতে হবে। ওই ফর্মে কোনও সময়ে কোন এটিএম থেকে ওই নোট বেরিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর কথা বলা হয়েছে। এমনকি ওই ফর্মের সঙ্গে বের হওয়া উইথড্রোল স্লিপের কপিও জমা দিতে হবে। তবে যদি ওই এটিএম থেকে উইথড্রোল স্লিপের কপি না নেন তাহলে আপনার রেজিস্টার মোবাইল নম্বরে আসা টাকা তোলার মেসেজ সরাসরি ব্যাঙ্কে দেখাতে পারেন।
কখনই ব্যাঙ্ক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে না
ব্যাঙ্ক কখনও নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে না। কিন্তু অনেক সময়ে ছেঁড়া নোট নিয়ে গেলেও ব্যাঙ্ক তা পরিবর্তন করে দিতে অসবসিকার করে। এহেন ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক্সচেঞ্জ কারেন্সি রুলস ২০১৭ এর নিয়ম অনুযায়ী ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে বের হওয়া ছেঁড়া ফাটা নোট যদি বের হয় সেটা ব্যাংকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এমনকি নিয়ম অনুযায়ী ওই ওই ছেঁড়া নোট বদলে ভালো নোট পরিবর্তন করে দিতে বাধ্য। এতে খু একটা সময় লাগার কথা নয়।
কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান
রিজাভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যাঙ্ক ছেঁড়া ফাটা নোট নিতে অস্বীকার করে দেয় তাহলে কড়া ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও যদি ব্যাঙ্কের কোনও কর্মচারী এই বিষয়ে না কাজ করে অর্থাৎ ফাটা নোট নিতে অস্বীকার করে তাহলে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এমনকি ব্যাঙ্ককে মোটা অঙ্কের জরিমানা পর্যন্ত করতে পারে। ফলে এই বিষয়ে সতর্ক থাকাটা প্রয়োজন।