আপনার এলপিজি সিলিন্ডার কি খালি হয়ে এসেছে, এক টুকরো ভেজা কাপড়েই বোঝার অতি সহজ উপায়
আপনার এলপিজি সিলিন্ডার কি খালি হয়ে এসেছে, বোঝার অতি সহজ উপায়
মূল্য সাশ্রয়কারী জ্বালানি, স্বাস্থ্যকর। এইসব কারণে এলপিজির (lpg) ব্যবহার দিনের পর দিন বাড়ছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী উজ্জ্বলা প্রকল্পের দ্বিতীয় সংস্করণের উদ্বোধন করেছেন। যার জেরে আরও বাড়তে চসেছে এলপিজির ব্যবহার। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ সিলিন্ডারের (cylinder) গ্যাস যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে অনেকেই ফাঁপড়ে পড়তে পারেন। তাই আগে থেকেই যদি সিলিন্ডারের গ্যাসের পরিমাণ জানা যায়, তার থেকে ভাল কিছু হতে পারে না।
নিরাপদ উপায়
বাড়িতে অতিথি এসেছে, হঠাৎ সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ। তাহলে আপনি কী করবেন। সেই পরিস্থিতি মনে আসার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের উত্তর আসতে শুরু করে। সেই কারণে হাতে-গরম উপায়। যার মাধ্যমে বাড়ির যে কেউ নিরাপদেই জেনে যেতে পারবেন সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে। তা সময় মতোই জানা যাবে।
অনুমানও উপায়
অনেকেই আছেন, তাঁরা সিলিন্ডার তুলে ধরে, তার মধ্যে থাকা গ্যাসের পরিমাণের অনুমান করে থাকেন। পাশাপাশি বাড়ির অনেকেই গ্যাসের বার্নারের শিখার নীল রঙের পরিমাণ কমে গিয়ে তা হলুদ হতে শুরু করলেই বলে দেন, সিলিন্ডারে গ্যাস শেষ হয়ে এসেছে। তবে তা শুধুই অনুমান, তা অনেক সময় সঠিক নাও হতে পারে। কেননা বার্নারে যদি ময়লা জমে যায় কিংবা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তাহলেও শিখার রং হলুদ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যে পদ্ধতি বর্তমানে বলা হবে, তা কেবল সহজই নয়, বরং তা সঠিকভাবেই সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমাণ বলে দিতে পারে।
সিলিন্ডারে গ্যাসের পরিমাণ জানতে সহজ উপায়
প্রথমে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে সিলিন্ডারের গায়ে থাকা ধুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর একটি ভিজে কাপড় সিলিন্ডারের গায়ে জড়িয়ে দিতে হবে। তারপর মিনিট খানেকের অপেক্ষা। এরপর কাপড়টি সরিয়ে নিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময়ই পরিবর্তন সামনে আসবে। দেখা যাবে সিলিন্ডারের কিছু অংশ শুকনো আর কিছু অংশ ভেজা রয়েছে। সিলিন্ডারের যে অংশ খালি হয়ে গিয়েছে, সেই অংশে গরম হওয়ায় দ্রুত জল শুষে নিতে পারে। কিন্তু যে অংশটি খালি, সেই অংশটি ঠাণ্ডা হওয়ায়, সেই অমশ্র জল শুকিয়ে যেতে কিছু সময় নেয়। ফলে জানা যেতেই পারে সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে। ওজন জানা না গেলেও, বোঝা যায়, কতটা সময় চলতে পারে সেই গ্যাস।
সিলিন্ডারের গায়ে কোড
রান্নার জন্য যেসব এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, সেইসব সিলিন্ডারের ওপরে দিকে কোড লেখা থাকে অন্য রঙ দিয়ে। ধরা যাক সেখানে লেখা হয়েছে বি-২৩। সিলিন্ডারগুলিতে কোডের ব্যবহারে এ, বি, সি, ডি ব্যবহার করা হয়। এ-এর অর্থ হল বছরের প্রথম তিন মাস, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ। বি-র অর্থ হল এপ্রিল, মে, জুন। সি-এর অর্থ হল জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর। আর ডি-এর অর্থ হল অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর। বি-২৩-এর অর্থ ২০২৩ সালের জুনের পরে এই সিলিন্ডারটি ব্যবহার যোগ্য আছে কিনা, তার পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে।