অকাল পক্ক কেশ কীসের প্রতীক! জ্যোতিষ মতে কোন ইঙ্গিত মিলছে
অকাল পক্ক কেশ কীসের প্রতীক! জ্যোতিষ মতে কোন ইঙ্গিত মিলছে
অল্প বয়সে পাকা চুলের সমস্যা অনেকেরই থাকে। তবে সেই সমস্যা কোন স্বাস্থ্যগত কারণে শুরু হচ্ছে, তা নিয়ে রয়েছে বহু ধরনের জল্পনা। বিজ্ঞান মতে বলা হয়, মেলানিনের তারতম্যের জন্য চুলের রঙের পার্থক্য হয়। এই অকাল সাদা চুল আবার অবেকের কাছে বেশ পছন্দের ! হেয়ারস্টাইলে এই সাদা চুল কার্যত অনেককেই মাত করে দেয়। একনজরে দেখা যাক, অকাল পাকা চুল নিয়ে জ্যোতিষ মতে কী বলা হচ্ছে।
গ্রহের দোষে হয় পাকা চুল!
উল্লেখ্য, গ্রহের দোষে অনেক সময় থিতিয়ে পড়ে সৌন্দর্য। মনে করা হয়, শুক্র গ্রহের দোষ থাকলে কোষ্ঠীতে রূপ খানিকটা কমজোর হয়ে পড়ে। জ্যোতিষ মতে বলা হচ্ছে, শুক্র গ্রহের দোষ থাকলে সেই ব্যক্তির অকাল পক্ক কেশ হয়। যদি, মঙ্গল, শনি, রাহু, বা কেতুর সঙ্গে একই রাশিতে শুক্র অবস্থান করে তাহলে গ্রহের দোষ শুরু হয়। শুক্র যাঁদের দুর্বল হতে শুরু করে, তাঁদের রূপ লালিত্য কমতে থাকে। ফলে অকাল পক্ক কেশও তার একটি দিক হয়ে দাঁড়ায়। শুক্র গ্রহ যদি কারোর কোষ্ঠীতে ৬, ৮, ১২ নম্বর স্থানে থাকে, তাহলে তার প্রভাব কেশে পড়ে।
গুরুগ্রহও হতে পারে কারণ!
শুধু শুক্রের প্রভাবই নয়। বলা হচ্ছে, গুরু গ্রহ যদি খুব একটা মজবুত না হয়,তাহলে ঝরে যেতে পারে অকাল পক্ক কেশও। শুধু যে সাদা চুলই গ্রহের দুর্বলতার কারণ , তা নয়। এরসঙ্গে নিজের নিজের মতো করে গুরু গ্রহের অবস্থানও প্রাসঙ্গিক। অনেক সময় বৃহস্পতির অবস্থান ভালো জায়গায় না থাকার ফলে চুল আগের থেকে সাদা হয়ে যায়। যা অকাল পক্কতা ডেকে আনে।
রবির প্রভাব
বলা হয় , চুল যদি অল্প বয়স থেকে সাদা হতে শুরু করে, তাহলে ধরে নিতে হবে ব্যক্তির কোষ্ঠীতে রবির প্রভাব ঠিক জায়গায় নেই। রবির দুর্বলতার কারণে চুলের এমন অকাল পক্কতা হতে পারে। যদি চন্দ্র, রবি, রাহু একই রাশিত অবস্থান করে, তাহলে তার ফলেও কোষ্ঠীতে প্রভাব পড়ে। আর চুলের রঙ সাদা হয়।
সাদা চুল থেকে মুক্তি পেতে কী করণীয়?
চুলের সাদাভাব বা অকাল পক্কতা থেকে মুক্তি পেতে জ্যোতিষ মতে নানান পন্থা রয়েছে। যেমন রোজ যোগভ্যাস করলেই এই সমস্যা কেটে যেতে পারে। রোজ সূর্যনমস্কার যোগ টি করলে চুলের অকাল পক্কতা কাটতে পারে। নজরে রাখতে হবে খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস। যোগ অভ্যাস করার সময় ২ থেকে ৩ মিনিট শীর্ষাসন করতে হবে।