ফেং শুই অনুযায়ী, অবিবাহিতরা বেডরুমে কখনও রাখবেন না এইসব জিনিস
ফেং শুই অনুযায়ী, অবিবাহিতরা বেডরুমে কখনও রাখবেন না এইসব জিনিস
জ্যোতিষ এবং বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ি এবং বাড়িতে থাকা সকল প্রকারের জিনিস, তার অবস্থান, রাখার দিক, এবং সেই বাড়ির সদস্যদের প্রকৃতি সকল কিছুর প্রভাবই কার্যকর হয় সেই বাড়ির সুখ শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে। শুধুমাত্র তাই নয়, অনেক সময় বাড়ির কোনও নির্দিষ্ট জিনিস বা তা রাখার দিক ও ধরণের উপর নির্ভর করে সেই বাড়িতে শুভফল বা সমস্যা তৈরি হয়। সনাতন বাস্তু শাস্ত্রের পাশাপাশি চাইনিজ বাস্তুশাস্ত্র ফেং শুইতেও বলা হয়েছে কিভাবে অনেক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়। এর পাশাপাশি, জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি পেতে, বাড়িতে এবং অফিসে কিছু বিশেষ জিনিস রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফেং শুই অনুযায়ী, শোবার ঘর সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বলা হয়েছে। এই মতে অবিবাহিতদের বেডরুমে কিছু জিনিস রাখলে মনে করা হয় যে জীবনে বড় ক্ষতি হতে পারে। এই জিনিসগুলি তাঁদের প্রেমের জীবন এবং ভবিষ্যতের বিবাহিত জীবনে সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। তাই অবিবাহিতদের ঘরে যদি এইসব জিনিস রাখা থাকে তাহলে তাঁদের উচিত অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা।
বেডরুমে জিনিস রাখা
অবিবাহিতদের বেডরুমে বেশকিছু জিনিস রাখা একদমই উচিত বলে মনে করা হয় না। যেমন ফেং শুই অনুযায়ী, অবিবাহিতদের বেডরুমে টিভি-কম্পিউটার ইত্যাদি বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র রাখা একদমই উচিত নয়। মনে করা হয় যে এতে এই সকল ব্যক্তির জীবনে ভুল বোঝাবুঝি ও সংযোগের অভাব হতে পারে। এই জিনিসগুলি প্রেমের জীবনে অনেক রকমের অসুবিধা নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে ফেং শুই অনুযায়ী, অবিবাহিতদের তাঁদের শোবার ঘরে নদী, পুকুর, জলপ্রপাত ইত্যাদি জল সম্পর্কিত কোনও ছবি টানিয়ে রাখা একদমই উচিত নয়। মনে করা হয় এই কাজ করলে তা পরবর্তীতে সেই ব্যক্তির দাম্পত্য জীবনে নানা রকমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শোবার ঘরের প্রকৃতি
শোবার ঘরে পার্টিশন, ঘরের সিলিং দিয়ে বিম চলে যাওয়া বা ঘরের মাঝখানে পিলার থাকা তাদের দাম্পত্য জীবনে বাধা সৃষ্টি করে। ফেং শুই অনুযায়ী, এমন ঘরে অবিবাহিতদের থাকা বা ঘুমানো খুব একটা শুভ নয়। সেই সঙ্গে অনেকেই আছেন যাঁরা বিছানাকে মোটা বানানোর জন্য একসঙ্গে একাধিক গদি পেতে রাখেন। কিন্তু ফেং শুই অনুযায়ী, অবিবাহিতদের কখনই ২টি গদি দিয়ে বিছানায় ঘুমানো উচিত নয়। এটি তাঁদের জীবনে নেতিবাচকতা নিয়ে আসে। এবং এই সময় সেই সকল ব্যক্তির প্রেমের জীবনেও সমস্যা তৈরি করে।
বেডরুমে সংযুক্ত ওয়াশরুম
এখন প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতেই ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বাথরুম থাকে। কিন্তু ফেং শুই অনুযায়ী, এক্ষেত্রে অবিবাহিতদের বেডরুমে যদি অ্যাটাচড টয়লেট কিংবা ওয়াশরুম থাকে, তাহলে তার দরজা সবসময় বন্ধ রাখা উচিত। বিশেষ করে শৌচাগারের দরজা যদি বিছানার সামনে খুলে যায়, তাহলে সেই দরজা অবশ্যই সবসময় বন্ধ রাখুন। কারণ বিছানার সোজাসুজি বাথরুম থাকা একদমই উচিত নয়। এরই সঙ্গে সঙ্গে অবিবাহিতদের বেডরুমে বিছানা এমনভাবে রাখা উচিত নয় যাতে বিছানার কোণ কোনও জানালা বা দেওয়ালে আটকে থাকে।
বেডরুমে আয়না
এমনিতেই বাস্তু শাস্ত্র মতে বেডরুমে আয়না রাখা একদমই শুভ বলে মনে করা হয় না। তাই কোনও ব্যক্তি বিবাহিত হোন বা অবিবাহিত, সকলেরই বেডরুমেই আয়না রাখা এড়িয়ে চলা উচিত। তবে ফেং শুই অনুযায়ী, বিশেষ করে অবিবাহিতদের শোবার ঘরে আয়না রাখা একদমই উচিত নয়। কিন্তু যদি একান্তই বেডরুমে আয়না রাখার দরকার হয় এটি ব্যবহার করে অন্য সময় ঢেকে রাখা উচিত। আর বিছানার মুখোমুখি আয়না রাখা একদমই উচিত নয়।
সাফল্য থেকে সৌন্দর্য, কেমন হয় মুলাঙ্ক ২-এর জাতক জাতিকাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট?