জীবনে আচমকা বিপত্তি নেমেছে? নজর দোষ কাটানোর জন্য করুন এই সামান্য উপায়
জীবনে আচমকা বিপত্তি নেমেছে? নজর দোষ কাটানোর জন্য করুন এই সামান্য উপায়
ভালো মন্দ, এই দুটি দিক নিয়েই চলছে এই গোটা পৃথিবী। সেই সঙ্গে সকলের জীবনের সবকিছুই সমানতালে সুখ ও দুঃখ নিয়েই চলতে থাকে। কিন্তু তা হলেও হঠাৎ করেই কারও জীবনে নেমে আসে শোকের ছায়া। কিংবা পরিবার বা বাড়িতে কলহের পরিবেশ তৈরি হয়। এমনকি এরকমও দেখা যায় যে বাড়ির লোকজন আচমকাই অসুস্থ হতে শুরু করেছেন। আবার অনেক সময় এমন হয় যে অযথা আলস্য ঘিরে ধরে এবং কোনও কাজ করতে ভালো লাগে না। ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের সদস্যদের উন্নতিও থেমে যায়। মনে করা হয় যে এই সকল ঘটনা ঘটলে বাড়িতে কোনও অশুভ প্রভাব কিংবা অশুভ নজরের প্রকোপ হয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক প্রতিকার বলা হয়েছে যা ঘরকে অশুভ নজর থেকে রক্ষা করে। দেখে নেওয়া যাক এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার কী কী উপায় রয়েছে।
মুখ্য দরজায় বিশেষ ব্যবস্থা
যদি কখনও বাড়িতে কোনও অশুভ নজর বা শক্তির প্রভাব পড়েছে বলে অনুভব করা যায় তাহলে শুক্রবার বাড়ির প্রধান দরজার উপরে আম কিংবা অশোক পাতার দ্বার বন্ধন লাগানো খুব শুভ বলে মনে করা হয়। সেইসঙ্গে এটি বিশ্বাস করা হয় যে আম বা অশোক পাতার দ্বার বন্ধন বাড়িকে সব রকম অশুভ শক্তি এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে দূরে রাখে। এরই সঙ্গে সঙ্গে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কোনও অশুভ নজর বা নেতিবাচক শক্তি থেকে ঘরকে রক্ষা করতে বাড়ির প্রধান গেটের উপরে ময়ূরের ছবি লাগানোও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় যে এতে ঘরে আগত সব রকমের অশুভ শক্তি ও খারাপ নজরের আক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়।
নজর দোষ কাটানোর উপায়
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়িতে নজর দোষ কিংবা কোনও রকমের অশুভ এবং নেতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে থাকলে সারা ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিলে তা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হয়। এছাড়াও বাড়ির মুখ্য দরজার সামনে বা উঠনে বৃহস্পতিবার করে হলুদের জল ছিটিয়ে দিলে ঘরকে যে কোনও খারাপ নজর থেকে রক্ষা করা যায়। এছাড়াও নজর দোষ কাটানোর বেশ কার্যকরী উপায় হল শুকনো লঙ্কার ধোঁয়া। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার তিনটি শুকনো লঙ্কা নিয়ে তা পুড়িয়ে সেই ধোঁয়া বাড়িতে সব ঘরে ও প্রধান দরজায় দিলে নজর দোষ কেটে যায়। এছাড়াও বাড়ির শিশুর প্রতি কারো কু-দৃষ্টি থাকলে লবণ, পেঁয়াজের খোসা, রসুন, সর্ষে ও শুকনো লঙ্কা মিশিয়ে যে কোনো জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে শিশুর মাথার উপর দিয়ে ঘুরিয়ে দিন। পোড়ার পরও যদি গন্ধ না থাকে তাহলে বুঝবেন শিশুটি নজর দোষে আক্রান্ত। তখন শুকনো লঙ্কা পোড়া দিয়ে দিন।
নেতিবাচক শক্তি কাটানোর উপায়
বাড়িতে যে কোনও নেতিবাচক শক্তির প্রভাব থেকে বাঁচতে যে কোনও শুক্রবার সর্ষের তেলে কালো ঘোড়ার নাল ভিজিয়ে রাখুন। এরপর শনিবার সেটিকে তেল থেকে তুলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এর পরে শনি মন্ত্র যেমন, 'ওম শম শনিশ্চরায় নমঃ' জপ করুন এবং শনিদেবের কাছে বাড়ির সব নেতিবাচক শক্তি কেটে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করুন। এর পর ঘরের বাইরে দরজার উপরে ইউ আকারে ঝুলিয়ে রাখুন। এবং সেই অবশিষ্ট তেল অশ্বত্থ গাছের তলায় ঢেলে দিন। এতে যে কোনও খারাপ নজরই হোক না কেন তা চিরতরে দূর হয়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
কোন ঘরে শনি অবস্থান করলে জীবন সুখের হয়, জানেন