নবরাত্রি ২০২০: সপ্তম দিনে দেবী কালরাত্রির পুজোর মাহাত্ম্য, আচার, রীতি একনজরে
নবরাত্রি ২০২০: সপ্তম দিনে দেবী কালরাত্রির পুজোর মাহাত্ম্য, আচার, রীতি একনজরে
দেখতে দেখতে পুজো প্রায় চলেই এল। তবে বাঙালিদের পুজোর পাশাপাশি অবাঙালিরাও মাতবেন নবরাত্রির পুজোয়। ন’দিন ধরে দুর্গা মায়ের ন’টি রূপের পুজো করা হবে। শরত কালে এই পুজো হয় বলে একে অনেকে শারদ নবরাত্রিও বলে। সপ্তম দিনে এই নবরাত্রিতে পুজো হয় দেবী কালরাত্রির। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই পুজোর মাহাত্ম্য, আচার ও রীতি।
সপ্তমীতে দেবী কালরাত্রির পুজো
সপ্তমীতে দেবী কালরাত্রির পুজো করা হয়। তিনি নবদুর্গার অন্যতম ও দেবী দুর্গার সপ্তম শক্তি। এই দেবীর অপর নাম শুভঙ্করী। তাঁর বাস কৈলাস পর্বতে। এঁনার বাহন হল গর্দভ। চারটি হাতের ডানদিকের ওপরের হাতে রয়েছে বরমুদ্রায় বর প্রদান করছেন ও অভয়মু্দ্রা এবং নীচের হাতে খড়গ ও লোহার কাঁটা ধরে রয়েছেন।
পুরাণের কথা
শাক্ত শাস্ত্রানুযায়ী, সেই দিন সাধকের মন সহস্রার চক্রে অবস্থান করে। তাঁর জন্য ব্রহ্মাণ্ডের সকল সিদ্ধির দরজা খুলে যায়। এই চক্রে অবস্থিত সাধকের মন সম্পূর্ণভাবে মাতা কালরাত্রির স্বরূপে অবস্থান করে। তাঁর সাক্ষাৎ পেলে সাধক মহাপুণ্যের ভাগী হন। তাঁর সমস্ত পাপ ও বাধাবিঘ্ন নাশ হয় এবং তিনি অক্ষয় পুণ্যধাম প্রাপ্ত হন।
প্রচলিত কাহিনী
হিন্দুদের বিশ্বাস, কালরাত্রি দুষ্টের দমন করেন, গ্রহের বাধা দূর করেন এবং ভক্তদের আগুন, জল, জন্তু-জানোয়ার, শত্রু ও রাত্রির ভয় থেকে মুক্ত করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, কালরাত্রির উপাসক দেবীকে স্মরণ করলেই দৈত্য, দানব, রাক্ষস, ভূত ও প্রেত পালিয়ে যায়।
দেবীর কালরাত্রি রূপ
কালরাত্রি ভীষণদর্শনা দেবী। তার গায়ের রং ঘন অন্ধকারের মতো কালো। তিনি এলোকেশী। তার গলায় বজ্রের মালা দোলে। তিনি ত্রিনয়না এবং তার চোখগুলি ব্রহ্মাণ্ডের মতো গোলাকার। তার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অগ্নিশিখা নির্গত হয়।
মায়ের পুজোয় কোন ভোগ
অন্যান্য ভোগের পাশাপাশি এদিন দেবীকে গজা ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। এটাই দেবী কালরাত্রির প্রধান ভোগ।
নবরাত্রি ২০২০: প্রথম দিন দেবী শৈলপুত্রীর পুজোর মাহাত্ম্য, আচার, রীতি একনজরে