মহালয়ার পর থেকে এই বিশেষ কয়েকটি নিয়ম পালন করলে ঘরে অর্থাভাব কেটে বাড়বে সম্পত্তি! জ্যোতিষ টিপস একনজরে
মহালয়ার পর থেকে এই বিশেষ কয়েকটি নিয়ম পালন করলে ঘরে অর্থাভাব কেটে বাড়বে সম্পত্তি! জ্যোতিষ টিপস একনজরে
রাত পোহালেই মহালয়া। বংলরা কোণে কোণে এমন কোনও গৃহস্থ নেই যেখানে ভোরের আলো ফোটার আগেই, রেডিওতে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়ার স্তোত্রপাঠ শোনা হবে না! 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে..'এর সুর ধরেই বাঙালির ঘরে ঘরে মহালয়ার ভোরে ঘুম ভাঙবে পুজোর কাউন্টডাউনকে সঙ্গে নিয়ে। গঙ্গার তীরে তখন তর্পণের ব্যস্ততা। কার্যত চারদিকে পুজো এসে যাওয়ার বার্তা দিয়ে যাবে কাশের বনের দোলা! এই মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষের সূচনা। আর এই দেবীপক্ষের শুরু থেকে একাধিক পন্থা পালন করেল ঘরে সম্পত্তি ও অর্থ বৃদ্ধি পায় বলে দাবি বহু জ্যোতিষশাস্ত্রবিদের। এককনজরে দেখা যাক, সেই সমস্ত বিশেষ টোটকা।
মন্দিরে রাখুন পতাকা
জ্যোতিষ মতে বলা হচ্ছে, নবরাত্রিতে, দেবী মা দুর্গার মন্দিরে লাল পতাকা যদি রাখা যায়, তাহলে তা সুফল দিতে পারে। এই কাজ মহালয়ার পর থেকে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অর্থ সংক্রান্ত কোনও কাজ যদি বহু দিন ধরে আটকে থাকে, তাহলে নবরাত্রিতে নয় দিন দেবী দুর্গাকে ৫ ধরনের শুকনো ফল দিলে ,তার সু'ফল' অর্থভাগ্যে মেলে।
ইচ্ছাপূরণ
কোনও ইচ্ছা বহুদিন ধরে মনে রয়েছে, তা পূরণ করা যাচ্ছে না, তার জন্য, একটি অশ্বত্থ পাতায় রাম নাম লিখে কোনও মিষ্টি জাতীয় জিনিস রেখে তা স্থানীয় কোনও হনুমান মন্দিরে রেখে আসতে হবে। এতে মিটে যায়, বহু দিনের কাঙ্খিত কোনও স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে বেশি দেরি লাগে না। এছাড়াও নবরাত্রিরতে অর্থাৎ মহালয়ার পর দিন থেকেই কোনও বজরংবলী মন্দিরে গিয়ে পানের পাতা অর্পণ করে আসতে বলা হচ্ছে। জ্যোতিষবিদদের মতে এই কাজের ফলে ঘরে আসে সুখ সমৃদ্ধি।
ঘরে সম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে
বাস্তুশাস্ত্রবিদরা বলছেন, দুর্গাপুজোর সময় ৯ দিন টানা অর্থাৎ মহালয়ার পর থেকে নবমী পর্যন্ত দিনে চারবেলা যদি মা দুর্গার সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে তা রাখা হয়, তাহলে বহু কুনজর কেটে যায়। এতে আর্থিক দিক থেকে কোনও বাধা বিপত্তি থাকলে তা কম হয়। এই প্রদীপে যদি লবঙ্গ দিয়ে তা অর্পণ করা হয় তাহলে ঘরে অর্থ ও সম্পত্তি তুঙ্গে থাকে। এছাড়াও দুর্গাপুজোয় মুকুট বা ঘট জাতীয় কিছু যদি দেবীকে অর্পণ করা হয়, তাহলে কেটে যায় বহু আর্থিক ভাগ্যের বাধা বিপত্তি।