রাহু ও কেতুর খারাপ প্রভাব এড়াতে করুন এই সামান্য উপায়, দূর হবে সব সমস্যা
রাহু ও কেতুর খারাপ প্রভাব এড়াতে করুন এই সামান্য উপায়, দূর হবে সব সমস্যা
সনাতন পুরাণ ও জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রহের আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে সকল জাতক জাতিকার জীবনে। শুধুমাত্র তাই নয়, গ্রহদের অবস্থান এবং তাদের প্রকৃতি সরাসরি প্রভাব ফেলে সকল মানুষের জীবনযাত্রার উপর। আর সেই মতই রাহু এবং কেতু, এই দুই গ্রহকে ছায়া গ্রহ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে জ্যোতিষ মতে। তবে এই দুই গ্রহ যে শুধুমাত্র খারাপ প্রভাবই বিস্তার করে কারও জীবনে তা কখনওই ঠিক নয়। রাহু এবং কেতু সকলে জাতক জাতিকাদের অনেক শুভ ফলও দিয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছে রাহু এবং কেতু। আর এই দুই ছায়া গ্রহর খারাপ প্রভাব কাটানোর জন্য বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বনের কথাও বলা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক সামান্য কী কী উপায় করলেই সহজে দূর করা যায় রাহু ও কেতুর খারাপ ফল।
রান্নাঘরের সঙ্গে রাহু-কেতুর সম্পর্ক
রাহু এবং কেতু, এই দুটি গ্রহের বাড়ির রান্নাঘরের সঙ্গে খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, এই গ্রহগুলি ঘরে উপস্থিত ইতিবাচক শক্তিকে নেতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। তাই জ্যোতিষ এবং বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই দুটি গ্রহ বাড়িতে উপস্থিত ইতিবাচক শক্তিকে নেতিবাচক শক্তিতে রূপান্তর করতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। রান্নাঘরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কড়াই এবং তাওয়া। আর বাস্তু অনুসারে, তাওয়া এবংকড়াই এই দুটি প্রধান বাসনই খোদ রাহুর প্রতিনিধিত্ব করে। তাই সবসময় এই বাসনগুলির বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। যারা এই জিনিসগুলির ভালোকরে যত্ন নেন না, সেখানে রাহু ও কেতু বাস করে এবং তাদের অশুভ প্রভাব ফেলে। সব সময় এই বাসনগুলিকে যত্নে রাখা দরকার।
তাওয়া রাখুন আড়ালে
রাহু ও কেতুর খারাপ প্রভাব এড়ানোর জন্য সামান্য কিছু উপায় করলেই হবে সব সমস্যার সমাধান। প্রথমত, রান্নাঘরের এমন জায়গায় তাওয়া রাখা দরকার যেখানে পরিবারের বাইরের কেউ রান্নাঘরে ডুকলে তা সহজেই দেখতে না পান। তাওয়া ও কড়াই কখনোই উল্টে রাখা উচিত নয়। বাস্তু শাস্ত্র মতে মনে করা হয় যে, তাওয়া ও কড়াই উল্টে রাখলে রান্নাঘরে রাহুর নেতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়। আর যার জন্য জীবনে আসতে পারে নানা রকমের বিপদ।
বাসন রাখার সঠিক দিক
প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে স্বয়ং মা লক্ষ্মী বসবাস করেন বলে মনে করা হয়ে থাকে। তাই এখানে সঠিক ভাবে ও দিকে বাসন রাখা খুব জরুরী। বাস্তু মতে তাওয়া ও কড়াই সর্বদা রান্নাঘরের ডান দিকের কোনও জায়গায় রাখা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ এটি বিশ্বাস করা হয় যে, রান্নাঘরের ডানদিকে মা অন্নপূর্ণার অবস্থান থাকে। তাই বাসন যদি ওইদিকে রাখা হয় তাহলে তা খুব শুভ হয়।
বাসন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
তাওয়া ব্যবহার না হলে রান্নাঘরের আলমারিতে রাখুন। রান্নার পর তাওয়া নোংরা ভাবে রাখা কখনওই ঠিক না, সব সময় ধোয়ার পর সেটি তুলে রাখা উচিত। তাওয়া ও কড়াই ব্যবহারের পর কখনই গ্যাসের উপর রেখে দেওয়া ঠিক নয়। এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তি আসে। অন্যথায় জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। গরম তাওয়া ও কড়াইতে কখনই জল ঢালবেন না, এটা করলে জীবনে নানা ধরনের ঝামেলা আসতে শুরু করে। খাওয়ার সময় তাওয়া-কড়ই ব্যবহার করার সময় তাতে কিছু লবণ ছিটিয়ে দিন। এতে পরিবারের বাস্তু দোষ দূর হয়, ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ ও বাস্তু শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
চলতি মাসেই সূর্য ঘর পরিবর্তন করবে! কোন কোন রাশির ভাগ্যের দ্বার খুলবে, জেনে নিন