শাসকদলের নেতাদের টাকা দিতে হয় বলেই নার্সিংহোমগুলি পকেট কাটে সাধারণের : সুজন
বেসরকারি হাসপাতাল ইস্যুতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের নেতাদের একাহাত নিলেন সুজন চক্রবর্তী।
কোচবিহার, ২৭ ফেব্রুয়ারি : বেসরকারি হাসপাতাল ইস্যুতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের নেতাদের একাহাত নিলেন সুজন চক্রবর্তী। কোচবিহারে দলীয় এক অনুষ্ঠানে সিপিএম বিধায়ক তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেখে যে দাওয়াই দিয়েছেন, তা পুরোটাই আই-ওয়াশ। আসলে শাসকদলের নেতা ও পুলিশকে টাকা দিতে হয় বলেই অতিরিক্ত টাকা নেয় নার্সিংহোমগুলি।[বেসরকারি হাসপাতালে যথেচ্ছাচার, অযথা বিল বৃদ্ধি আর গাফিলতির অভিযোগ ভুরিভুরি ]
তাঁর যুক্তি, শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা টাকা নেওয়া বন্ধ করুন, পুলিশের তোলা আদায় ঠেকালেই নার্সিংহোন অনেক সস্তা হয়ে যাবে। তিনি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, নেতারা টাকা নেয় বলেই সাধারণ মানুষের পকেট কাটতে বাধ্য হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তাই তিনি মনে করেন, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর ওই ধমক দেওয়া লোকদেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়। তা না হলে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরই হাসপাতালগুলি এই কাণ্ড ঘটাতে সাহস করত না।[সহানুভূতি-অনুকম্পা চাই না, বিচার চাই, অ্যাপোলোর বকেয়া মিটিয়ে জানালেন সঞ্জয়ের স্ত্রী ]
এর পাশাপাশি সুজনবাবু বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা খারাপ বলেই মানুষ বেসরকারি হাসপাতালের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে মানুষ ঠিকমতো পরিষেবা পান না। রাজ্যজুড়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি রমরমিয়ে ব্যবসা করছে, তার পিছনে হাত রয়েছে শাসকদলের নেতাদের।
সুজনবাবুর অভিযোগ, কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের নার্সিংহোমের লাইসেন্স আটকে যাওয়ার পরও শাসকদেলর নেতার মদতেই তা নবীকরণ হয়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সেইসব খতিয়ে দেখা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে কোনও খবরই রাখেনিন। কিংবা রাখলেও তা না জানার ভান করছেন। এদিন শিশউপাচার নিয়েও বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করেন সুজনবাবু।