ভাঙড়ের আন্দোলনকে দিল্লি পৌঁছে দিতে চান অধীর, মিছিলকে সমর্থন কংগ্রেসের
ভাঙড় আলোচনা চায়। সরকার কেনও আগ্রহী নয়? ফের ভাঙড়ে গিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি প্রস্তাব দিলেন ভাঙড়ের আন্দোলনকে দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়ার।
কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৩০ জানুয়ারি : ভাঙড় আলোচনা চায়। সরকার কেনও আগ্রহী নয়? ফের ভাঙড়ে গিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি প্রস্তাব দিলেন ভাঙড়ের আন্দোলনকে দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়ার। সেই মর্মে ভাঙড়বাসীকে নিয়ে তিনি দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ভাঙড়ের মানুষের ক্ষোভকেই এবার হাতিয়ার করতে উদ্যোগ প্রদেশ কংগ্রেস।[ভাঙড়কাণ্ডে অশান্তি এড়াতে রুটমার্চ না করেই ফিরল 'সহিষ্ণু' পুলিশ]
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় যখন পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প নিয়ে উত্তাল, পুলিশের গুলিতে দু'জনের মৃতু্যর অভি়োগ উঠেছে। টানা আটদিন অবরোধ কর্মসূচি চলেছে। যখন কোনও রাজনৈতিক নেতা এলাকায় ঢুকতে পারেননি, তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী গ্রামে গিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন। সিঙ্গুর নিয়ে এক অবস্থান, আবার ভাঙড়ে কেন ভিন্ন অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদ দল তৃণমূল কংগ্রেসের, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অধীরবাবু।[ভাঙড় : আরও দুই নকশাল নেতা গ্রেফতার, নতুন করে অশান্তি শুরু এলাকায়]
এবার ভাঙড়বাসীর আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের নিয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা বললেন। সিপিএম আগেই ঘোষণা করেছিল, ভাঙড়ের আন্দলনকে তাঁরা রাজ্য ছড়িয়ে দেবেন। যে আন্দোলনে ভর করে এ রাজ্যে পরিবর্তন এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, এবার সেই অস্ত্রেই যুদ্ধ জয় করতে চায় সিপিএম। কংগ্রেসও এবার একই পথে হাঁটতে শুরু করল।[কে চালাল গুলি? উর্দিই বা কার? ভাঙড়বাসীর ধন্দ কাটছে]
ভাঙড়ে আপাত শান্তি বিরাজ করছে। ক্রমশ ছন্দ ফিরে পাচ্ছে ভাঙড়। দোকান-পাট খুলছে, স্বাভাবিক হচ্ছে যান চলাচল। এরই মধ্যে প্রস্তপতি শুরু হয়েছে সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের মিছিল নিয়ে। সিপিআইএমএল রেডস্টার তথা জমি কমিটির পক্ষ থেকে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁরা বার্তা দিয়েছে, সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে চায়। এদিনের মিছিলেন যোগ দিতে পারে কংগ্রেসও, এমন বার্তাও দিয়েছেন অধীরবাবু।[বহিরাগতদের গ্রেফতার করতে সিআইডিকে নির্দেশ মমতার]
আর অধীরবাবু ভাঙড় পরিদর্শন করে সেই প্রশ্নটাই তুলে দিলেন ফের। কেন সরকার আলোচনায় বসছে না, যখন আন্দোলনকারীর আলোচনায় বসতে আগ্রহী? রবিবার পাওয়ার গ্রিড স্টেশনের অদূরে লাউহাটি মোড়ে সভা করেন অধীর চৌধুরী। সরকার বারবার বার্তা দিচ্ছে, ভাঙড়ে বলপ্রয়োগের রাস্তায় হাঁটা হবে না। তবে কেন তড়িঘড়ি আলোচনায় বসছে না সরকার।
উল্লেখ্য, দু'দিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি সর্বদলীয় বৈঠক চেয়েছিলেন ভাঙড় নিয়ে। এরপরই রাজ্যপাল বার্তা দেন, রাজনৈতিক নেতা, জমি আন্দোলনকারী, গ্রামবাসী ও সরকার একত্রে আলোচনায় বসেই সমাধান সূত্র বের করতে হবে।