মার্কিন জাহাজের আনাগোনা দেখেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক অনুশীলন শুরু করছে বেজিং
দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখতে ও বলা যায় আরও কিছুটা বাড়াতে বৃহস্পতিবার থেকে সমুদ্রে সামরিক অনুশীলন শুরু করবে চিন। সেজন্য বাকী অসামরিক জাহাজগুলিকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকারও নির্দেশ দিয়েছে।
বেজিং, ২৬ অক্টোবর : দক্ষিণ চিন সাগরের দখল কোনওভাবে আলগা করতে রাজি নয় চিন। আর সেজন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে ধাক্কা খাক অথবা কোনও দেশের সঙ্গে সরাসরি বৈরিতায় যেতে হোক, চিন কোনও কিছুতেই পিছিয়ে আসতে রাজি নয়। [দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে এত লড়াই কেন? কী এর প্রেক্ষাপট]
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখতে ও বলা যায় আরও কিছুটা বাড়াতে বৃহস্পতিবার থেকে সমুদ্রে সামরিক অনুশীলন শুরু করবে চিন। সেজন্য বাকী অসামরিক জাহাজগুলিকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকারও নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসন। [পৃথিবীর গভীরতম 'সিঙ্কহোল'-এর খোঁজ মিলল দক্ষিণ চিন সাগরে!]
এই বিতর্কিত এলাকায় চিন নিয়মিত সামরিক অনুশীলন করে। এবং এবারে সপ্তাহ খানেকআগে মার্কিন সামরিক জাহাজ পারাসেল দ্বীপের কাছাকাছি দেখা দিতেই দক্ষিণ চিন সাগরে অভিযান চালাতে তৎপর হয়ে উঠেছে চিন।
চিনের দ্বীপ প্রদেশ হাইনান ও উত্তর-পূর্বে পারাসেল দ্বীপের উপরে ভিয়েতনাম, তাইওয়ানের মতো ছোট দেশগুলিরও দাবি রয়েছে। তবে সেসব পাত্তা না দিয়ে সেই অঞ্চলের অধিকার রয়েছে শুধু চিনের হাতে। সেই এলাকায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে হুঁশিয়ারি হিসাবে গণ্য করেই চিন এই পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ঠিক কি করতে চলেছে জি জিনপিংয়ের সরকার তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। শুধু অসামরিক চিনা জাহাজগুলিকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। কেন এমন পদক্ষেপ তা সম্পর্কে কিছু জানায়নি চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকও।
ঘটনা হল, এই দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে বিশ্বের মোট জাহাজের এক-তৃতীয়াংশ চলাচল করে। সাগরের নিচে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস সহ প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ। ফলে এমন একটি লাভজনক এলাকা দখলে রাখতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে চিন।
বিতর্কিত এই জলসীমানায় কৃত্তিম দ্বীপ তৈরি থেকে শুরু করে, সামরিক মহড়া চালানো সহ নানাভাবে আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা করছে চিন। যা দেখে বিশ্ব কূটনীতিতে চিনের প্রবল প্রতিপক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধীদের একজোট করে লড়াইয়ে নেমেছে।