ছাত্ররা ছুটিতে, ক্লাসরুমকে 'পোলট্রি ফার্ম' বানিয়ে ফেললেন হেডমাস্টার
রামপুর জেলার দর্শনপুরের প্রাইমারি স্কুলে গরমের ছুটি চলছে। ফলে স্কুলের পঠনপাঠন পুরোপুরি বন্ধ, সেটাই স্বাভাবিক। আর সেই ফাঁকে দর্শনপুরের প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার আজব কান্ড করে বসেছেন।
রামপুর জেলার দর্শনপুরের প্রাইমারি স্কুলে গরমের ছুটি চলছে। গরমের দাপটে গোটা উত্তরপ্রদেশে ত্রাহি ত্রাহি রব। প্রয়োজন না পড়লে কেউ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। ফলে স্কুলের পঠনপাঠন পুরোপুরি বন্ধ, সেটাই স্বাভাবিক। আর সেই ফাঁকে দর্শনপুরের প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার আজব কান্ড করে বসেছেন।
অভিযোগ, গ্রামের প্রধানের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্লাসরুমের ভিতরেই পোলট্রি ফার্ম খুলে দিয়েছেন। সেখানে অন্য গবাদি পশুও পোষা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাছাড়া স্কুল চত্বরের আশপাশে অনেক গবাদি পশু-পাখি ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে জেলাশাসকের দফতর থেকে তদন্ত হয়। তারপর স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রামপুরের শিক্ষা আধিকারিক সর্বানন্দ জানান, স্কুলে এই ঘটনার ভিডিও হাতে আসার পরে ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানোর পরে তদন্ত হয়। তাতে দেখা যায় স্কুলের শিক্ষক ফরিয়াদ আলি খান ও অন্য এক শিক্ষক ঘটনায় জড়িত রয়েছেন। স্কুলে আগন্তুকের প্রবেশ রোখা বা গবাদি প্রতিপালন কোনওটাই তাঁরা বন্ধ করতে পারেননি।
এই ঘটনায় ব্লকের শিক্ষা আধিকারিককেও সমন পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় নাক কাটা গিয়েছে শিক্ষা দফতরের। ফলে কোনওভাবেই এই ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত অপর এক শিক্ষক প্রয়াগ কুমার দাবি করেছেন, গত মে মাসের ২১ তারিখ গরমের ছুটি পড়ার পরে স্কুল বিল্ডিং তালা দিয়ে সেই চাবি গ্রামের প্রধানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর কী হয়েছে তা কেউ জানেন না। গ্রামের প্রধান স্কুল পরিচালক সমিতিরও প্রধান। তিনিই ষড়যন্ত্র করেছেন বলে অভিযোগ দুই শিক্ষকের।