নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে পড়ে রডে শরীর এফোঁড়-ওফোঁড়, তবুও রক্ষা!
প্রবাদটি যে আজও কতটা প্রাসঙ্গিক, তা আবার বোঝা গেল। নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে সোজা পড়ল খাড়া হয়ে থাকা লোহার রডের ওপর। এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে শরীরে ঢুকে গেল খান কতক। তবুও বেঁচে গেল এক কিশোরী। ব্যাপার-স্যাপার দেখে তাজ্জব ডাক্তাররাও। ঘটনাটি ঘটেছে পাটনায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৭ বছরের ওই কিশোরী একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের ছাদে ঘোরাঘুরি করছিল। অসাবধানতাবশত পড়ে যায় নীচে। একটি অসমাপ্ত থামের ওপর গিয়ে পড়ে শরীরটা। সেখান থেকে কয়েকটি রড বেরিয়েছিল। অন্তত তিনটি রড ঢুকে যায় শরীর ভেদ করে। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষ তাকে নিয়ে যায় রুবান পাটলিপুত্র হাসপাতালে। অবস্থা দেখে ডাক্তাররা তাজ্জব হয়ে যান। পাঁচ ঘণ্টা টানা অস্ত্রোপচার করে রডগুলি শরীর থেকে বের করা হয়। সত্যজিৎ সিং, কে এন সিনহা, অবিনাশ এবং জে সি পাণ্ডে, এই চারজন ডাক্তার অপারেশন করেন। তাঁরা জানান, রডগুলি মেয়েটির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যেমন কিডনি, যকৃত, প্লীহা ইত্যাদির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। এমনভাবে ঢুকেছে যে, এই রডগুলি শুধু মাংসপেশিকে গর্ত করেছে। যার ফলে আঘাত গুরুতর হলেও প্রাণঘাতী হয়নি।
ওই কিশোরীর বাড়ি হল বিহারেরই ছাপরা জেলায়। ঘটনার কথা শুনে হাঁ হয়ে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মঞ্ঝি-ও। তিনি ওই মেয়েটির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন ভিড় জমাতে শুরু করে এই বিস্ময়বালিকাকে দেখতে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাউকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। কর্তৃপক্ষের মতে, মেয়েটির সুস্থ হতে অন্তত তিন সপ্তাহ লাগবে।