মাসের বরাদ্দ রেশন পাননি! অভিযোগ জানিয়ে পেতে পারেন ক্ষতিপূরণের নগদ টাকা
মাসের বরাদ্দ রেশন পাননি! অভিযোগ জানিয়ে পেতে পারেন ক্ষতিপূরণের নগদ টাকা
রেশন দোকান থেকে মাসের বরাদ্দ খাদ্যশস্যে অনেক সময় গড়মিল দেখতে পাওয়া যায়। এর জেরে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েন দরিদ্র পরিবাররা। এবার থেকে মাসের বরাদ্দ রেশন বরাদ্দ না পেলে রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন যেতে পারে। মিলতে পারে ক্ষতিপূরণের নগদ অর্থ। ইতিমধ্যে কেরল সরকারের তরফে মাসের বরাদ্দ রেশন না পাওয়ার জন্য ২৫ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে চাইবেন ক্ষতিপূরণ
জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০০৩ এর অধীনে খাদ্য নিরাপত্তা ভাতা নামে নগদ ক্ষতিপূরণের একটি স্কিম রয়েছে। যাঁদের রেশন কার্ড রয়েছে, তাঁরাই এই স্কিমটির সুযোগ ভোগ করতে পারবেন। কেন্দ্র সরকারের একটি তথ্য অনুসারে কেরলে মোট ৯২.৭৮ লক্ষ পিডিএস সুবিধাভোগী রয়েছেন। তারমধ্যে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় ৫.৮৯ লক্ষ পরিবার রয়েছে। পিএইচএইচ বা অগ্রাধিকার পরিবার বিভাগে ৩৪.৯৪ লক্ষ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তা ভাতা-র জন্য উপযোগী। উপযুক্ত খাদ্যশস্য না পেলে গ্রাহকরা জেলা আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যাঁকে ডিজিআরও বলা হয়, তিনি এই মামলার মীমাংসা করবেন। গ্রাহক সেই রায়ে সন্তুষ্ট না হলে রাজ্য খাদ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পারেন।
সুযোগ থেকে বঞ্চিত বেশিরভাগ মানুষ
কেরলের রাজ্য খাদ্য কমিশনের চেয়ারম্যান কেভি মোহন কুমার জানিয়েছেন, বেশিরভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তা ভাতা-র বিধান সম্পর্কে জানেন না। ক্ষতিপূরণের বিষয় সম্পর্কে তাঁদের বিশেষ ধারণা নেই। তাই অনেকেই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য খাদ্য কমিশন জেলার আধিকারিকদের এই ধরনের মামলাগুলোকে ডিজিআরও-তে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন। ডিডিআরও-কে এই অভিযোগগুলোর দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে ক্ষতিপূরণের অর্থ মূল্যায়ন করা হবে? এই বিষয়ে কেরল সরকারের খাদ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সেই মরশুমে খাদ্য শস্যের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের ১.২৫ গুন এবং সরবরাহ করা হয়নি এমন পরিমাণের জন্য এনএফএসএ ২০০৩ তফসিল-১ এ উল্লেখ করা দামের পার্থক্যের গুন করে ভাতা গণনা করা হবে।
অভিযোগের তিন সপ্তাহের মধ্যে মিলবে ক্ষতিপূরণ
তবে কেরল সরকার অভিযোগের দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে। প্রকৃত অভিযোগের তিন সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করতে হবে। তবে যে কেউ এই আবেদন করতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত গ্রাহকরা দোকানে যাননি, তাঁদের আনা অভিযোগ গ্রাহ্য করা হবে না। পাশাপাশি খাদ্যশষ্যের নিম্নমানের অভিযোগ আনা হলে, সেক্ষেত্রে গ্রাহক কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে না।
ঘন্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া! জারি লাল সতর্কতা