কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন কারা, কীভাবে হয় এই নির্বাচন! জানুন বিস্তারিত
আর মাত্র দু-সপ্তাহ, তারপরই বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচন সংঘটিত হবে দেশের গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। ২২ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে কংগ্রেসে। এবার কংগ্রেসের প্রধান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর।
আর মাত্র দু-সপ্তাহ, তারপরই বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচন সংঘটিত হবে দেশের গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। ২২ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে কংগ্রেসে। এবার কংগ্রেসের প্রধান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর। দীর্ঘদিন পর কংগ্রেসের নির্বাচন হতে চলেছে গান্ধী পরিবারকে বাদ দিয়ে। কিন্তু কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হয় কীভাবে, কারাও বা ভোট দেন, জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ভোটদানের অধিকারী কারা
কংগ্রেসের সংবিধান মেনে এই ভোট প্রক্রিয়া হয়। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ভোটদানের অধিকারী হলেন এআইসিসি সদস্যরা। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতিরা অন্তত এক বছর পদে থাকলে, তাঁরা পদাধিকার বলে এআইসিসি বা অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি হন। যে সমস্ত প্রদেশ সভাপতিরা অন্তত এক বছর পদে ছিলেন, তাঁরা যদি বর্তমানেও দলের সদস্যপদ নবীকরণ করেন, তাঁরাই এআইসিসি সদস্য থাকেন।
কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচন হয় প্রক্রিয়া মেনে ধাপে ধাপে
এছা়ড়া কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচন হয় একটি প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে। ব্লক স্তর থেকে বিভিন্ন স্তরের কংগ্রেস কমিটিগুলি ধাপে ধাপে অংশ নেয় প্রতিনিধি নির্বাচনে। ব্লক স্তরের কমিটিগুলি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি নির্বাচন করে। আর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলি আইসিসি বা অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধি নির্বাচন করে।
কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের পদ্ধতি
সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান। প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার জন্য অন্তত ১০ জন প্রস্তাবক লাগে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাতদিনের সময় থাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়া পর ব্যালট পেপার ছাপানো হয়। তারপর প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদর দফতরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক প্রতিনিধি ভোট দেন একটি করে। দলের ইলেক্টোরাল কলেজে মোট ৯ হাজার প্রতিনিধি রয়েছেন, তাদেরই সভাপতি নির্বাচনে ভোটাধিকার রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে কারা প্রার্থী কংগ্রেসের
এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনজন। প্রথম জন শশী থারুর, তারপর মল্লিকার্জুন খাড়গে ও কে এন ত্রিপাঠীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। স্ক্রুটনির পর বাতিল হয় ত্রিপাঠীর মনোনয়ন। ফলে লড়াই দাঁড়ায় মল্লিকার্জুন খাড়গে বনাম শশী থারুরের। গান্ধী পরিবার জানিয়ে দিয়েছে কোনও অফিসিয়াল প্রার্থী নেই। তাঁরা চেয়েছিলেন আর বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক।
বিভিন্ন দিক থেকে ঐতিহাসিক এবারের নির্বাচন
এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন বিভিন্ন দিক থেকে ঐতিহাসিক হতে চলেছে। প্রথমত নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হননি। আর দ্বিতীয়ত নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের কেউই ভোটাভুটিও অংশ নেবেন না বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েক দশক পর হতে চলেছে এমনটা যে গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না। আর গান্ধী পরিবারের সদস্যরা ভোটদানে বিরত থাকছেন, তাও বিরল।