অজান্তে বেড়ে চলেছে হার্টের সমস্যা! জানুন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার উপায়
হৃদযন্ত্রের রোগ বা সমস্যা যত দিন যাচ্ছে, বেড়ে চলেছে। জানুন কীভাবে নিজের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখবেন
হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে যারা হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে তারা বেশিরভাগ কমবয়সী।
বয়স ৫০ পেরোনোর আগেই ঘিরে ধরছে হৃদরোগ। হার্ট অ্যাটাকের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ২০-৪০ মধ্যের তরুণ তরুণীরা।
বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। আগের তুলনায় তা বেড়েছে ৩২ শতাংশ।
যখন হৃদপিণ্ডের কোনো শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ মাত্রায় খারাপ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মোটা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস,মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার নীরব ঘাতক। হৃদযন্ত্রকে নানাভাবে প্রভাবিত করে।
উচ্চ মাত্রায় খারাপ কোলেস্টেরলের হাত ধরে আপনার অজান্তে হার্টে বাসা বাধতে পারে নানা অসুখ। কোলেস্টেরলের একটা বড় অংশ ধমনীর প্রাচীরে জমা হয় ও রক্তের প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে। কোলেস্টেরলকে অবহেলা করলে তার ফলও খুব একটা ভালো হয় না।
ওবেসিটির ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরের ওজন অত্যধিক বাড়তে থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা রক্তনালীগুলোর ক্ষতি করে।। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহকে বাঁধা দেয়। এই কারণে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মানসিক চাপ, অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের উল্লেখযোগ্য একটি কারণ। কাজের স্ট্রেসের পাশাপাশি যদি মানসিক চাপ থাকে তাহলে তা হৃদরোগের সমস্যা বাড়ায়।
ব্যস্ত জীবনে অনিয়মের ফলে হার্টের নানা সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান প্রভাব ফেলে হৃদপিন্ডের উপর।
অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া, বুকে ব্যাথা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া,মাথা ঘোরানো,বমি বমি ভাব,শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথা হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ।