কতক্ষণ বিশ্রাম নিলে একটা মানুষ চাঙ্গা বোধ করবে সেটা একেক জনের জন্য একক রকম। আবার সাত থেকে আট ঘণ্টাই যে ঘুমাতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই।
তবে রাতের নির্ভেজাল ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে সকলের, না হলেই বিগরে যাবে পরবর্তী দিনটি।
ঘুম আমাদের জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টিতে আমরা তেমন ভাবে গুরুত্ব দিই না। খারাপ ঘুমের ধরণ আপনার শরীর এবং মনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।
পরদিনের কাজগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাইলে আগের দিন রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার পড়ে। তাই বিছানায় যাওয়ার আগে কয়েকটি দিক মাথায় রাখুন।
ঘুমাতে যাওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ভড়া পেটে কখনই ভালো ঘুম হয় না। এই বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখুন।
বিছানায় যাওয়ার আগে অনেকেই স্নান করে থাকেন। কারণ গায়ে জল ঢাললে আমাদের শরীরের উষ্ণতা কমে এবং আমরা রিল্যাক্স হতে পারি। রাতে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারি।
যাবতীয় চিন্তা সরিয়ে ফেলে শুধুমাত্র ঘুমের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। সব যন্ত্রপাতি বন্ধ করা আর কৃত্রিম আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া ভালো ঘুমের একটি উপায় হতে পারে।
দৈনিক পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়। পর্যাপ্ত পরিশ্রমের ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ঘুমও ভালো হয়।
ঘুমানোর আগে যদি মেডিটেশন বা ধ্যান করা যায় তাহলে আমাদের শরীর এবং মন শান্ত হবে এবং ঘুম ভালো হবে।
শোয়ার ঘরের পরিবেশ আরামদায়ক রাখুন। দিনের শেষে ঘুমানোর জন্য ঘরের পরিবেশ আরামদায়ক ,স্বস্তিদায়ক হলে ভাল হয়।
আপনার শরীরের টেম্পারেচার যদি স্বাভাবিকের তুলনায় খানিকটা কম থাকে তাহলেও কিন্তু রাতে ঘুম ভালো হয়। বেশি থাকলে ঘুম কিন্তু কোন ভাবেই সহজ হয় না।