সিকিমের পশ্চিম প্রান্তের ইয়াকসামে লুকিয়ে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
সিকিমের পশ্চিম প্রান্তের ইয়াকসামে লুকিয়ে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
পশ্চিম সিকিমের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত ইয়াকসাম একাধারে এ রাজ্যের ধর্মীয় স্থানও বটে। কারণ এই স্থানের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ৩৩৩ বছরের চোগিয়াল রাজত্ব এবং তিন বৌদ্ধ সাধুর সাক্ষাতের বহুল প্রচলিত ইতিহাসে। যার টানে ইয়াকসামে ছুটে যান পর্যটকরা। তাঁদের মতে, এই এলাকার মাধুর্যই নাকি স্বতন্ত্র।
অবস্থিতি
পেলিং থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ইয়াকসাম সমুদ্রতল থেকে ৫৮৪০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। পাহাড়ে ঘেরা এই শহর কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্কের মাথায় অবস্থিত।
কীভাবে যাওয়া যায়
কলকাতা থেকে ট্রেন, বাস বা বিমানে পৌঁছতে হবে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে বাস বা প্রাইভেট গাড়িতে আগে পেলিংয়ে পৌঁছনো আবশ্যক। সেখান থেকে ইয়াকসামে পৌঁছতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগে না।
ইতিহাস
ইয়াকসাম কথার অর্থ 'তিন সাধুর সাক্ষাতের স্থান'। কথিত আছে, তিব্বত থেকে আগত তিন বৌদ্ধ সাধু ফুন্টসোং নামগায়ালকে সিকিমের প্রথম রাজা হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। ১৬৪১ সালে ওই শাসককে চোগিয়াল বা ধর্মীয় রাজার উপাধি দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে ৩৩৩ বছর সিকিমে চোগিয়াল বংশ রাজত্ব করেছে বলে শোনা যায়। আজও রয়েছে তার নিদর্শন। তাই সিকিমের মানুষের কাছে এই স্থানের মাহাত্ম্যই অন্যরকম।
ভৌগলিক গুরুত্ব
ইয়াকসাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘামুখী ট্রেক শুরু করেন বহু পর্বোতারোহী। সেখান থেকে বেরোনো রাস্তা গেজিং ও গ্যাংটকের সঙ্গে সংযুক্ত। ওক, পাইন, ফার, রডোডেনড্রনে মোড়ে সেই রাস্তায় হেঁটে পাওয়া যায় স্বর্গীয় শোভা।
দর্শনীয় স্থান
যে স্থানে সিকিমের প্রথম রাজা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ফুন্টসোং নামগায়াল, সেই পাথরের বেদীটি বাঁধানো হয়েছে। যা এই এলাকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এছাড়াও কাথক পোখরি, ডুবডি মনেস্ট্রি, কারটোক মনেস্ট্রি, ইয়াকসাম মন্দির পর্যটকদের অন্যান্য আকর্ষণের জায়গা।
নিয়মের বেড়াজালে আটকেও ভাস্বর সিকিমের হেলমেট, যার অন্য নাম জুলুক