জল-ছবি দর্শনে চলুন চিলিকা, অলস ছুটি হোক বা মধুচন্দ্রিমা
কেন যাবেন: চিলিকা বেড়াতে যাওয়ার চারটি কারণ বুঝে নিতে হবে।
প্রথমত, চিলিকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য অনবদ্য। দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির ওপর দিয়ে বয়ে আসা শীতল বাতাস মনপ্রাণ জুড়িয়ে দেয়। চিলিকার বুকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত বড়ই রমণীয়। জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের আলো পড়ে জল থেকে বিচ্ছুরিত হয় রুপোলি ছটা। হ্রদের বুকে ছোট ছোট দ্বীপগুলি যেন ছড়িয়ে থাকে ভাসমান মুক্তোর মতো। বার্ডস দ্বীপ, হানিমুন দ্বীপ, ব্রেকফাস্ট দ্বীপ ইত্যাদি ছড়িয়ে আছে হ্রদের বুকে। ভাগ্য ভালো থাকলে দর্শন মিলবে ডলফিনেরও।
আরও
পড়ুন:
স্মরণীয়
ছুটি
কাটাতে
চলুন
রমণীয়
শঙ্করদহ
আরও
পড়ুন:
কালিম্পংয়ের
হট্টগোল
থেকে
দূরে
নিরালা
নিসর্গ
ছিবো
দ্বিতীয়ত, আপনি যদি পাখি ভালোবাসেন, তা হলে চিলিকা আদর্শ জায়গা। পাখিদের ওড়াউড়ি সারা বছর দেখা যায়। তবে শীতকাল খুব ভালো সময়। এ সময় দেশ-বিদেশ থেকে উড়ে আসে পরিযায়ী পাখিরা। তাদের যেমন বাহার, তেমনই বিচিত্র জীবনযাপন।
তৃতীয়ত, চিলিকা হ্রদের ধারে প্রিয়তমাকে নিয়ে বসে থাকা যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নীরবে নির্জনে কেটে যাবে প্রহর। তাই মধুচন্দ্রিমায় অনেকে আসেন এখানে। নির্জনতা উপভোগ করার আদর্শ জায়গা হল রম্ভা। এখানে কাটান দু'টো দিন। ভালো লাগবে।
চতুর্থত, আপনি যদি মৎস্যপ্রেমী হন, তা হলে শুধু রসনা তৃপ্ত করতেও আসতে পারেন চিলিকায়। ন্যায্য দামে হ্রদের টাটকা উৎকৃষ্ট মাছের স্বাদ নিন। কাঁকড়াও চেখে দেখতে হবে বৈকি!
এ ছাড়া সাইট সিয়িং করতে চাইলে দেখে নিন নির্মলঝর ঝর্ণা, নারায়ণীমাতা মন্দির এবং নলবন।
কীভাবে যাবেন: চিলিকা পৌঁছতে গেলে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে বালুগাঁও। হাওড়া থেকে বালুগাঁও যাচ্ছে অনেকগুলি ট্রেন। তবে সকাল-সকাল পৌঁছতে চাইলে রয়েছে ১২৮৬৩ হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এবং ১২৮৩৯ হাওড়া-চেন্নাই মেল। প্রথম ট্রেনটি বালুগাঁও পৌঁছচ্ছে ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ। দ্বিতীয় ট্রেনটি বালুগাঁও ঢুকছে সকাল আটটায়। ১২৭০৩ ফলকনুমা এক্সপ্রেসের আসতে পারেন। যদিও এটি বালুগাঁও ঢুকছে বিকেল সাড়ে তিনটেয়।
কোথায় থাকবেন: চিলিকা হ্রদের ধারে তিনটি জায়গায় আপনি থাকতে পারেন। সাতপাড়া, বরকুল ও রম্ভা। তিন জায়গাতেই রয়েছে ওডিশা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের পান্থনিবাস। চেষ্টা করবেন জলের ধারে রমণীয় কটেজগুলিতে থাকতে। ভাড়া একটু বেশি হলেও অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
যোগাযোগ করতে পারেন: পান্থনিবাস, সাতপাড়া (০৬৭৫২-২৬২০৭৭/06752-262077) অথবা পান্থনিবাস, বরকুল (০৬৭৫৬-২৫৭৪৮৮/06756-257488 ) অথবা পান্থনিবাস, রম্ভা (০৬৮১০-২৭৮৩৪৬/06810-278346)।
পুরী থেকে বাসে করেও সাতপাড়া যাওয়া যায়। দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার।
পান্থনিবাসে ঘরভাড়ার সঙ্গে বেড টি ও ব্রেকফাস্টের খরচ ধরা আছে।
সরাসরি ই-মেইল করতে পারেন: [email protected]
এ ছাড়া ওডিশা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন বুকিং-ও করতে পারেন। মনে রাখবেন, অনলাইনে বুকিং করতে গেলে আপনাকে 'রেজিস্টার্ড ইউজার' হতে হবে। 'ক্রিয়েট নিউ ইউজার' অপশনে ক্লিক করে আপনার বিস্তারিত তথ্য লিখুন। তার পর 'সাবমিট' অপশনে ক্লিক করলেই আপনি 'রেজিস্টার্ড ইউজার' হয়ে যাবেন।
মনে রাখবেন: প্রথমত, চিলিকার বুকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে ভুলবেন না।
দ্বিতীয়ত, অবশ্যই নৌকো অথবা স্পিডবোটে চেপে হ্রদে ঘুরবেন। ভালো লাগবে।
তৃতীয়ত,
পান্থনিবাসের
রেস্তোরাঁয়
কাঁকড়া
অবশ্যই
খাবেন।
এরা
কাঁকড়া
থেকে
শাঁস
বের
করে
সেটা
মশলা
দিয়ে
রেঁধে
আবার
কাঁকড়ার
খোলে
ঢুকিয়ে
দেয়।
তার
পর
গোটা
কাঁকড়াটি
যত্ন
সহকারে
রান্না
করা
হয়।
এটি
একটি
লোভনীয়
পদ।
এ
ছাড়া,
পেল্লাই
সাইজের
চিংড়ি
মাছও
অবশ্যই
চেখে
দেখবেন।
কাঁকড়া,
মাছ
একমাত্র
পান্থনিবাসের
রেস্তোরাঁতেই
খাবেন।
বাইরের
কোনও
হোটেলে
নয়।
কারণ
সেখানে
রান্না
স্বাস্থ্যসম্মত
হয়
না।