শীতকালে মনোরম শোভা উপভোগ করতে ঘুরে আসুন উদয়পুরে, দেখে আসুন সুন্দর লেক থেকে মন্দির
শীতকালে মনোরম শোভা উপভোগ করতে ঘুরে আসুন উদয়পুরে, দেখে আসুন সুন্দর লেক থেকে মন্দির
শীতকালে ঘুরতে যাওয়ার এক আদর্শ সময়। এসময় প্রায় সকলেই ঘুরতে বেরিয়ে পরেন। দেশের মধ্যে কাছে পিঠে ঘুরতে যেতে প্রায় সকলেই পছন্দ করেন। তাছাড়া আবার সদ্যই অনেকে বিয়ে করেছেন বা বিয়ে করবেন এমন দম্পতিরাও হানিমুনও সারতে যেতে পারেন এখানে। খুব কম খরচে যদি পারেন এই জায়গায় ঘুরে নিজের চোখকে সার্থক করে নিন। যদি পারেন ঘুরে আসতে পারেন উদয়পুরে। তবে উদয়পুরে ঘুরতে গেলে আপনি কোন কোন জায়গা ঘুরে আসবেন দেখে নিন। কারণ এই জায়গাগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই সুন্দর যে আপনাকে বিভোর করে রাখবে।
সিটি প্যালেস
সিটি প্যালেস নাম নিশ্চয়ই সকলেই শুনেছেন। ১৫৫৯ সালে মহরানা উদয় মির্জা সিং এটি তৈরি করেছিলেন। এটি উদয়পুরে অবস্থিত। এই জায়গাটির ইতিহাসের অনেক সাক্ষী রয়েছে। যারা এই উদয়পুর ঘুরতে যান তারাই কিন্তু সিটি প্যালসে ঘুরে আসেন। আপনিও কিন্তু উদয়পুরে ঘুরতে গেলে অবশ্যই এখানে ঘুরবেন, না হলে আপনার উদয়পুর ঘোরা একেবারে বৃথা হয়ে যাবে।
লেক পিচোলা
লেক পিচোলা উদয়পুরের সিটি প্যালেসেই নির্মিত। ১৯৩২ সালে কৃত্রিম উপায়ে এই লেকটি তৈরি করা হয়েছিল। যারা উদয়পুরে ঘুরতে যাবেন তারা অবশ্যই এই লেকে ঘুরে আসবেন। এখানে গেলে আপনি নৌকাও ছাড়তে পারেন। সূর্যাস্তের সময় এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ হয়ে ওঠে। এখান দিয়ে যখন পাখীরা উড়ে যায় তখন অসাধারণ লাগে। তা দেখে আপনার মনে হবে আপনি যেন কোনও স্বপ্ন দেখছেন। তাছাড়াও সূর্যের আলো যখন লেকের জলে পড়ে লেকের জল চকচক করে ওঠে। স্বচ্ছ জলে নিজের মুখও আপনি দেখতে পাবেন। তাই পারলে উদয়পুরে গেলে একবার লেক পিচোলাতে ঘুরে আসবেন।
লেক প্যালস
লেক প্যালেস স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের জন্য জনপ্রিয়। তাছাড়া এই জায়গাটি খুব রোমান্টিক। এখানে গেলে আপনি বোটিং করতে পারবেন। উদয়পুরের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে লেক প্যালেস একটি। যদি পারেন শীতাকালে আপনি ঘুরে আসুন।
ফতেহ সাগর লেক
এটি রাজস্থানের সবচেয়ে সুন্দর লেকগুলির মধ্যে একটি। তিনটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এটি। যেখানে আপনি নৌকা চড়তে পারবেন। যদি আপনি এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আপনি এখানে ঘুরতে আসবেন। কারণ সূর্য যখন অস্ত যায় তখন পুরো শহরের যে দৃশ্য সেটি দেখলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এই দৃশ্য থেকে আপনি চোখ ফেরাতে পারবেন না এটা নিশ্চিত।
কুম্বলগড় দুর্গ
স্থাপত্য ও বিস্ময় থেকে ভাস্কর্য যদি আপনি দেখতে চান তাহলে এই কম্বলগড় দুর্গে ঘুরে আসুন। যদি পারেন সিটি প্যালেস থেকে এটি আপনি ড্রাইভিং করে যেতে পারেন। কারণ এখানে যাওয়ার দু'ধারের রাস্তায় ফুটে রয়েছে অসংখ্য গাছ ।এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেখার কারণেই মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এখানে গেলে আপনি কুম্বলগড় দুর্গ দেখে আসবেন। এই দুর্গ অনেক ইতিহাসের সাক্ষী।
কর্নি মাতার মন্দির
কর্নি মাতার মন্দির হিন্দু ধর্মে খুব জাগ্রত বলে বলে মনে করা হয়। এই মন্দিরটি উদয়পুরের মগরা পাহাড়ে অবস্থিত। যদি আপনি উদয়পুর ঘুরতে যান অবশ্যই কর্নি মাতার মন্দিরে যাবেন। প্রচলিত আছে যারা এই মন্দিরে এসে নিজের মনোবাসনা যারা করে যান, তাদের সেই ইচ্ছাও কিন্তু পূরণ হয়। তাছাড়াও এই মন্দিরে কাজ দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
এক লিংজি মন্দির
উদয়পুরের সবথেকে দর্শনীয় জায়গায় হল এক লিংজি মন্দির। তাছাড়াও এই মন্দির খুব জাগ্রত বলেই প্রচলিত রয়েছে। এই মন্দিরে ভগবান শিবের বাস আছে বলে মনে করা হয়। অনেকেই উদয়পুর যখন ঘুরতে আসেন, তখনই এই মন্দিরে আসেন। বহু বছরের পুরনো এই মন্দিরে এসে আপনি করে যান মনোবসনা, তা পূরণ হবে নিশ্চিত।
জগদীশ মন্দির
১৬৫১ সালে নির্মিত হয়েছিল এই জগদীশ মন্দিরটি। উদয়পুরে স্থাপত্য ও বিস্ময়কর জায়গার মধ্যে এটি। এখানে অনেক খোদাই করা ও টেরাকোটার কাজ রয়েছে। এই মন্দিরে অনেক মানুষ দেশ-বিদেশ থেকেও ঘুরতে আসেন। সেই সঙ্গে তারা দেবতার কাছে তাদের মনোবসনাও পূর্ণ হবে।
উদয়পুর সোলার অবজারভেটরি
এশিয়ার সেরা সৌর পর্যবেক্ষণ এলাকায় হল উদয়পুর সোলার অবজারভেটরি। এটি ফতেহ সাগর লেকের ওপর অবস্থিত। এই লেকের চারপাশে জল রয়েছে। যদি পারেন এখানে একবার ঘুরে যাবেন। কারণ এখানকার মনোরম শোভা অসাধারণ।
ছবি সৌ:ইউটিউব