অফ সিজনে দেশের মধ্যে ঘোরার সেরা গন্তব্য
অফ সিজনে দেশের মধ্যে ঘোরার সেরা গন্তব্য
ঘুরতে যেতে সকলেই পছন্দ করেন। বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। কিন্তু সব সময় যে পকেটে জোর থাকবে তা কিন্তু নাও হতে পারে। তবে বিদেশে যেতে হবে এমন মানে অনেকের কাছে নেই। কারণ দেশের মধ্যেই এমন সুন্দর অনেক ঘোরার জায়গা রয়েছে, যা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে কিছুদিন যখন হোটেলে থাকা হয় একটা আলাদা অনুভূতি জাগে মনে। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যে সব সময় ঘুরতে যাবার সম্ভব হয় না। তবে ছুটি পেলে অনেকেই কিন্তু ঘুরতে চলে যান কাছে পিঠে। দেশের মধ্যে ঘুরে আসেন কম খরচে। অফ সিজনে ঘোরার জন্য সেরা জায়গা রইল আপনাদের জন্য।
গোয়া
গোয়া এই জায়গাটি সকলেরই ঘোরার জায়গার তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ গোয়া, লাদাখ ছাড়া ঘোরার কথা অনেকেই ভাবতে পারেন না। ঘুরতে যাবে এমন চাহিদা সকলেরই থাকে। লাদাখ ঘোড়ার খরচ একটু বেশি। হাতে চার পাঁচ দিন ছুটি সময় নষ্ট না করে ব্যাগ গুছিয়ে ঘুরে আসুন গোয়া। অফ সিজনে ঘোরার জন্য সেরা জায়গা হল এটি। আপনি কিন্তু বর্ষাকালেও গোয়া ঘুরতে যেতে পারেন। তাহলে আপনি এখানে অনেক সুন্দর জিনিস দেখতে পাবেন। এখানে গেলে অবশ্যই বাটারফ্লাই বিচ, বেনৌলিম সৈকত দেখে আসবেন।
কেরল
বৃষ্টিকে সঙ্গী করে কেরলের অপূর্ব রূপ দেখে আসুন। যারা খুব রোমান্টিক তাদের এই জায়গাটি খুব ভালো লাগবে। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ, যা বলে বোঝানো কঠিন। এখানে গেলে অবশ্যই আপনি আলেপ্পি, মুন্নার, কোভালাম অবশ্যই ঘুরে আসবেন। এগুলো কিন্তু একদমই মিস করবেন না।
জয়শালমীর
রাজস্থানে ঘুরতে যেতে গেলে অবশ্যই জয়শালমীর একবার যাবেন। গোল্ডেন স্লাজ ল্যান্ড নামে পরিচিত এই জায়গা। এর মনোরম দৃশ্য দেখলে আপনি স্তব্ধ হয়ে যাবেন। এই শহরের সাংস্কৃতিক ইতিহাস জানতে হলে আপনাকে কয়েকদিন ওখানে থাকতে হবে। দেশ-বিদেশের নানান পর্যটক এখানে আসেন ঘুরতে। এখানকার চমৎকার খাবার, জয়শালমীরের দুর্গ, হাভেলি যা দেখার মতন। মরুভূমিতে উটের সাফারি এখানকার পর্যটকদের মূল আকর্ষণ।
জয়পুর
জয়পুর যদি আপনি বর্ষাকালে ঘুরতে যেতে চান তাহলে একবার ঘুরে আসুন। বর্ষাকালে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। হোটেলে গেলে আপনার সেখান থেকে আর ফিরে আসতে ইচ্ছা হবে না। মনে হবে এখানেই থেকে যাই। কারণ এখানকার মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের চুপ করিয়ে দেয়। গোলাপি শহর বলে পরিচিত জয়পুর। এটি এখানকার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। ভারতে খুব অল্প পরিমাণ শহরে ইতিহাস বহন করে চলেছে। তবে তাদের মধ্যে জয়পুরের স্থান রয়েছে। যদি আপনি রাজকীয় ইতিহাস এবং স্থাপত্যের অভিজ্ঞতা বাড়াতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই একবার জয়পুর ঘুরে আসুন।
আন্দামান
অফ সিজিনে আপনি ঘুরতে যেতে চাইছেন তাহলে ঘুরে আসুন আন্দামান।এই সময় এখানে গেলে আপনি হোটেল খরচ অনেক কম পাবেন। এখানে আপনি ফ্লাইট বা জাহাজে যেতে পারেন। তবে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব সুন্দর। আর এই কারণে দূর দূরান্ত থেকে হাজারও মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এখানে গেলে অবশ্যই পোর্টব্লেয়ার, হাভেল ও নীল দ্বীপ ঘুরে আসবেন।
মেঘালয়
বৃষ্টি চলে যাবার পর অর্থাৎ বর্ষাকাল কেটে যাবার পর মেঘালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। বুনো অর্কিড ফুল ফুটে থাকে চারিধারে। যার দেখার জন্য ছবি পরিবেশ প্রেমীরা এখানে ছুটে আসেন। যারা ফটো তুলতে বা অ্যাডভেঞ্চার করতে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই অবশ্যই মেঘালয় একবার ঘুরে যাবেন, না হলে মনে কোথাও আক্ষেপ থেকে যাবে।
সিকিম
ঘুরতে ভালোবাসেন তবে সিকিম যাননি এটা কিন্তু ঠিক না, একবার হলেও সিকিম ঘুরে আসুন। অফ সিজিনে এখানকার ফ্লাইট থেকে হোটেল টুর প্যাকেজ সবেতেই আপনি প্রচুর ছাড় পাবেন। এখানে গেলে নানান পাহাড়- পর্বত দেখতে পাবেন। তবে এখানকার খাদ্য কিন্তু খুব সুন্দর। দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এখানে ঘোরার টানে বারবার ছুটে আসেন।
লাদাখ
প্রতিটি মানুষের স্বপ্নের জায়গা হল লাদাখ। এখানে না ঘুরতে গেলে হয়তো ঘোরাটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অফ সিজিনে ঘুরতে গেলে এখানে আপনি হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া খুব সস্তায় পাবেন। এখানে কোন ট্রাফিক জ্যাম পাবেন না। তবে এখানে গেলে নানান বুদ্ধমন্দির দেখতে পাবেন। সুন্দর পাহাড় দেখতে পাবেন। তবে এখানে গেলে অবশ্যই বাইক রাইডিং করবেন।
ঋষিকেশ
ঘোরার সবথেকে আদর্শ জায়গা হল ঋষিকেশ। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এত সুন্দর যা দেখার জন্য অনেক জায়গার মানুষ এখানে ছুটে আসেন। এখানে গেলে আপনি অনেক পর্বত, নদী দেখতে পাবেন। তাছাড়াও এখানকার সমুদ্র সৈকতে আপনি মুগ্ধ হয়ে থাকবেন।
ভ্রমণের জন্য ব্যাগ প্যাকিং এর সময় মোটেও এই জিনিসগুলো নিতে ভুলবেন না