পাইনের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, গ্রীষ্মের দহনজ্বালা শীতল স্পর্শ দেবে তেন্দ্রাবং
পাইনের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, গ্রীষ্মের দহনজ্বালা শীতল স্পর্শ দেবে তেন্দ্রাবং
গরমে হাঁসফাঁস দশা রাজ্য বাসীর। শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুই। এই গরম থেকে বাঁচতে পাহাড় ছাড়া গতি নেই। ছোট ছুটির ঠিকানা দিচ্ছে তেন্দ্রাবং। কািলম্পংয়ের েলপচা গ্রাম তেন্দ্রাবং। একে অনেকে ফতিমা গাঁও বলে থাকেন। যার চারপাশ দিয়ে দেখা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
কালিম্পংয়ের ছোট্ট গ্রাম তেন্দ্রাবং
কালিম্পংয়ের ছোট্ট গ্রাম তেন্দ্রাবং। লেপচাদের বসবাস বলে একে লেপচা গ্রামও বলা হয়ে থাকে। এর আরেকটা নাম হল ফতিমা গাঁও। এই গ্রামে আসার পথটাও অত্যন্ত মনোরম। তেন্দ্রাবংয়ের রয়েছে মায়রং ফরেস্ট। উঁচু উঁচু পাইন গাছের ফাঁক িদয়ে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। অনেকেই কালিম্পং থেকে তেন্দ্রাবংয়ে পৌঁছে যান। ছোট্ট গ্রামের মনোরম সৌন্দর্য মুগ্ধ করে দেয় মন।
কীভাবে যাবেন
এনজেপি থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে তেন্দ্রাবং। কালিম্পং থেকে তেন্দ্রাবং যাওয়া যায় আলগাড়া হয়ে মনোরম পথ যায় তেন্দ্রাবং। এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া লাগে ৩৫০০ টাকা। আর কালিম্পং থেকে যেতে হলে ১৫০০ টাকাতেই হয়ে যায়। আর যদি কেউ আলিগাড়া থেকে যেতে চান তাহলে ৮০০ টাকাতেই পৌঁছে যাওয়া যায়। তেন্দ্রাবংয়ে থাকার জন্য রয়েছে হোমস্টে। সেখানে আগে থেক বুকিং করে যেতে হয়। তবে পর্যটকদের সঙ্গে রাখতে হবে করোনা টিকার দুটি ডোজ।
কী কী দেখার আছে
তেন্দ্রাবংয়ের মনোরম পরিবেশ মন ভরিয়ে দেবে। এখানকার গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রা দেখতেই ভাল লাগবে। এখানকার বাসিন্দারা মূলত এলাচ চাষ করে থাকেন। এছাড়া নাশপাতি, আরুচা, স্যান্ডারিন চাষ হয় এখানে। সারাদিন গ্রামের চারপাশে হেঁটে হেঁেট ঘুরতে ভাল লাগবে। আছে লেপচা মিউজিয়াম। সেখানেও ঘুরে আসা যায়। লেপচাদের ইতিহাস জীবনযাত্রার একটা ধারনা পাওয়া যাবে এই মিউজিয়াম থেকে।
রকমাির পাখি আর অর্কিডের শোভা
তেন্দ্রাবংয়ের আরেকটি বিশেষত্ব এখানকার অর্কিড। প্রত্যেকটি বাড়ির বারান্দায় দেখা মিলবে রংবেরঙের অর্কিড। এত অর্কিডের বাগান খুব কম জায়গায় দেখা যায়। এছাড়া নাম না জানা সব পাখিদের দেখা যায় তেন্দ্রাবংয়ের আনাচে কানাচে। রয়েছে ডুঙ্গা ফলস। পাইন গাছের ফাঁকে ফাঁকে দেখা মিলমবে স্করলেট, মিনিভেট, লেসার হুইসেলিিলং থ্রাশ, প্যারাডাইস, ফ্লাইক্যাচার সহ কত নাম না জানা পাখির দল।